নির্বাচনে মোদীর ‘আতঙ্ক’ হতে পারেন তিন নারী

28

সামনের এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের জাতীয় সংসদ (লোকসভা) নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে তুমুল প্রচারণা-সমাবেশ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসসহ কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক দলগুলো।
নির্বাচনে মোদীর প্রধান বাধা হয়ে উঠতে পারেন তিন নারী। এই তিনজন হলেন- কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী : ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর বংশধর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সম্প্রতি তাকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করে উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের ‘ইনচার্জ’র দায়িত্ব দেন দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী। ৪৭ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও চালচলনের মধ্যে অনেকে তার দাদি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে দেখতে পান। কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা তাকে দেখেন দলের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ হিসেবে। লোকসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে সেই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সাংগঠনিক দায়িত্ব নিয়ে রাজনীতির মাঠে নেমে পড়ায় বিজেপি শিবিরকে নতুন অঙ্ক কষতে হচ্ছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কন্যা প্রিয়াঙ্কা যে অঞ্চল সমন্বয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন, সেখানেই প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীর আসন।
মমতা বন্দোপাধ্যায় : ভারতের নারী রাজনীতিকদের মধ্যে সবচেয়ে উর্ধ্বগামী জনপ্রিয়তা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের সঙ্গে রাজপথ কাঁপিয়ে দীর্ঘদিনের বাম সরকারের অবসান ঘটানো মমতা সম্প্রতি বিজেপিবিরোধী মহাসমাবেশে কয়েক লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটিয়েছেন, মঞ্চে জড়ো করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড়া, পাঁচ রাজ্যের সাবেক ও এক বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন প্রদেশের শক্তিশালী আঞ্চলিক দলগুলোর নেতাদের।
মায়াবতী : বিজেপিকে যে নারী নেত্রীদের নিয়ে বাড়তি গুটি চালতে হবে, তাদের একজন হলেন উত্তর প্রদেশেরই বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। মূলত সনাতনী ধর্মের নিম্নবর্ণের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। সম্প্রতি ৬৩ বছর বয়সী মায়াবতীর দল সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট গড়েছে। সমাজবাদী পার্টি আবার দলিত সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সংখ্যালঘু মুসলমানদের পক্ষেও কাজ করে। সেজন্যই নিম্নবর্ণের লোক এবং সংখ্যালঘু মুসলমানদের সমর্থন মায়াবতীর দিকেই যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করে তার দল। যদিও সা¤প্রতিক এক মতামত জরিপে দেখা যায়, ভারতজুড়ে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই।