নির্বাচনের প্রতি জনগণের আগ্রহ নেই : ফখরুল

32

বর্তমান সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জনগণের এখন নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ-আস্থা কোনোটিই নেই। ফলে সিটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। উপজেলা নির্বাচন নিয়েও জনগণের আগ্রহ নেই’। গতকাল রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কৃষক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্ররাজনীতিতে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এটা যদি চালু রাখা যায় তাহলে দেশের জন্য ভালো হবে। আমরা ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে ভবিষ্যত যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারব। কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সোজা হয়ে দাঁড়াতে ও বসতে পারছেন না। ফখরুল বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেয়া হলো। নিম্ন আদালতের দেয়া সেই সাজাকে বাড়িয়ে ১০ বছর করা হলো। তিনি এখন অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে বিছানা থেকে তুলতে একজন সাহায্যকারী দরকার হয়। কিন্তু তাঁকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। এটা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। এখন আমাদের একটাই দায়িত্ব আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা।
ফখরুল বলেন, মামলা দিয়ে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ তিনি সারাটা জীবন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন। খালেদা জিয়া জীবনে ব্যক্তিগত সুবিধা, পারিবারিক সুবিধা ও অন্য কোনো কিছুর দিকে লক্ষ্য করেননি।
ফখরুল বলেন, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল অংশ নিয়েছে। এটাকে স্বাগত জানাই। তবে কোন দল জিতবে সেটা পরের বিবেচ্য বিষয়। কারণ ২৮ বছর ডাকসু নির্বাচন হয়নি, আমাদের দেশে যে রাজনীতিবিদ গড়ার কারখানা তা বন্ধ ছিল। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ছাত্র সমাজে রাজনীতির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এটা চালু থাকলে দেশের জন্য ভালো হবে।
দলের নেতাকর্মীদের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গায়েবি মামলার কথা আগে কেউ দেখেছে বা শুনেছে বলে জানা নেই। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ৯৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আসামির সংখ্যা ২৫ লাখ ছাড়িয়েছে। সরকারের মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফখরুল বলেন, তারা ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান করছে, কিন্তু যিনি ইয়াবা সম্রাট তিনি দলীয় দায়িত্বে।
কৃষক দলের আহবায়ক ও বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক তকদির হোসেন জসীম, নাজিম উদ্দিন মাস্টার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।