নির্দেশনা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত ফি আদায়!

80

হাটহাজারীর আওতাধীন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আম্বিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি যোগদানের পর চালু করেন নতুন নিয়ম। ১ম ও ২য় সাময়িক পরীক্ষার মত বার্ষিক পরীক্ষায়ও অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে চরম অসন্তোষ বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
জানা গেছে, এ বিদ্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষায় নির্দিষ্ট খরচ বাবদ শিক্ষা অফিসের নিদের্শনা থাকা সত্তে¡ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা অফিসের নিয়ম তোয়াক্কা না করে দ্বিগুণ টাকা আদায় করেন শিক্ষকরা। গত মাসের ২৭ তারিখ থেকে বার্ষিক পরিক্ষার ফি আদায় শুরু হয়। ১ম শ্রেণিতে ১০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা, ২য় শ্রেণিতে ১৫ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা, ৩য় শ্রেণিতে ২৫ টাকার পরিবর্তে ৫৫ টাকা ও ৪র্থ শ্রেণিতে ৩৫ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকা আদায় করা হয়।
শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, চাহিদা মত টাকা না দিলে আমাদের প্রধান শিক্ষক পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেন। এর আগে ১ম ও ২য় সাময়িক পরীক্ষায়ও যারা অতিরিক্ত ফি দেয়নি, তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এছাড়া প্রধান শিক্ষক প্রতিদিন দেরিতে বিদ্যালয়ে আসেন এবং বিকাল ৩টা না বাজতে চলে যান। তিনি ক্লাসও নেন না।
প্রধান শিক্ষক রেখা প্রভা শীল মুঠোফোনে অতিরিক্ত ফি নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, চারু ও কারুকলা পরীক্ষার জন্য কিছু অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে। আমি দুর্নীতি করি না। অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের জন্য কিছু সরঞ্জাম ক্রয় করি।
এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসের অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
বিষয়টি নিয়ে পাঁচলাইশ থানাধীন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল হামিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পরীক্ষায় বাড়তি ফি আদায়ের ব্যাপারে তিনি অবগত নন। তাছাড়া নির্ধারিত ফি’র বেশি নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি।