‘নিরাপদ সিরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র’

7

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ‘নিরাপদ সিরীয় অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠায় কোনও পদক্ষেপ নেবে না। সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইক এস্পার শুক্রবার বলেছেন, তার দেশের সেনারা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সেফ জোন প্রতিষ্ঠায় অংশ নেবে না। এর সঙ্গে ওই এলাকা থেকে ধারাবাহিকভাবে সেনা প্রত্যাহারও অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ৯ অক্টোবর তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। আঙ্কারা বলছে, তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া ২০ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে পুনর্বাসনের জন্য সেখানে তারা একটি সেফজোন গড়ে তুলতে চায়। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে তুরস্কে পাঠানোর ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পেন্স জানান, পাঁচদিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান জানান, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল জুড়ে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ পোস্ট নির্মাণ করবেন তারা।
এছাড়া সেফ জোনের আকারও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি। এই সেফ জোনে টহল দেবে তুরস্কের সেনাবাহিনী। আঙ্কারা চায় ইউফ্রেতিস নদী থেকে ইরাক সীমান্ত পর্যন্ত পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ। গত কয়েক দিনের অভিযানের পর এই এলাকার এক চতুর্থাংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তুর্কি বাহিনীর হাতে। বাকি এলাকার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী বা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এমন প্রেক্ষাপটে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইক এস্পার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাঠ পর্যায়ের কোনও সেনা সেফ জোন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে না। তারা তুরস্ক ও কুর্দি বাহিনী উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আইএসবিরোধী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও ব্রাসেলস সফর করবেন। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শুক্রবার কথা বলেছেন জানিয়ে এস্পার বলেন, আঙ্কারার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা শ্চিত করার আহŸান জানিয়েছেন তিনি।