নিজ শহরে পরাজয়ের হ্যাটট্রিক ভাইকিংসের

26

বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে রান জোয়ারের মাঝেই দেখা গেল উল্টো গ্রোত। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না চিটাগং ভাইকিংসের ব্যাটিং। নিজ শহরের মাঠে চিটাগং হারল টানা তিন ম্যাচ। বিপিএলে মঙ্গলবার চিটাগং ভাইকিংসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বৃষ্টিতে ১৯ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে চিটাগংকে ১১৬ রানেই আটকে রেখে কুমিল্লা জিতেছে ১৪ বল বাকি রেখে। ঢাকায় ৭ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে চট্টগামে এসে চিটাগং হারল তিন ম্যাচের সবকটি। ১০ ম্যাচে ৭ জয়ে কুমিল্লা আপাতত উঠে গেল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চিটাগংয়ের ভোগান্তির শুরু। ধুঁকতে থাকা দলকে শেষ দিকে কিছুটা বলার মতো রান এনে দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। তবে সেই রানে লড়াই করাও যায়নি। উইকেট খুব বোলিং সহায়ক ছিল না। তবে কন্ডিশন এ দিন সৃষ্টি করেছিল একটু ভিন্ন আবহ। বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয় ১৫ মিনিট দেরিতে। আকাশ ছিল মেঘলা, বাতাস শীতল। শঙ্কা ছিল আরও বৃষ্টির। চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম টস জিতে তবু বেছে নেন ব্যাটিং। ১ ওভার পরই নামে বৃষ্টি। আধ ঘণ্টা পর খেলা আবার শুরু হয় ম্যাচ ১ ওভার কমিয়ে। চিটাগং বিপদে পড়ে খেলা শুরু হওয়া মাত্রই।
এবারের আসরে প্রথম খেলতে নামা সাদমান ইসলাম ও দারুণ ফর্মে থাকা ইয়াসির আলি রাব্বিকে এক ওভারেই ফেরান মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। দলকে উদ্ধার করতে পারেননি মুশফিকও। ওয়াহাব রিয়াজের প্রথম ওভারেই থার্ডম্যানে গ্লাইড করতে গিয়ে আউট হন ৬ রানে। আবু হায়দারের এক ওভারে দুটি ছক্কা মারলেও নাজিবউল্লাহ জাদরান আউট হন ১৩ রানেই। দারুণ বোলিং করা শহিদ আফ্রিদির শিকার মিডল অর্ডারে ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও সিকান্দার রাজা। ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ শাহজাদ টিকে ছিলেন তখনও। কিন্তু মোসাদ্দেকের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে আফগান ওপেনার রান আউট হয়ে যায় ৩৫ বলে ৩৩ করে। মোসাদ্দেক খেলেছেন দারুণ কিছু শট। থিসারা পেরেরার এক ওভারে মেরেছেন চার ও ছক্কা, সাইফের এক ওভারে ছক্কা দুটি। তিনটি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত থেকে যান ৪৩ রানে। কুমিল্লার সেরা বোলার আবারও ছিলেন আফ্রিদি। দুই পেসার ওয়াহাব ও সাইফের বোলিংও ছিল দারুণ কার্যকর।
রান তাড়ায় কুমিল্লা কোনো তাড়াহুড়ো করেনি। ফিল্ডিংয়ের সময় পায়ে টান পড়ায় ব্যাটিংয়ে নামেননি আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এভিন লুইস। ব্যর্থতার বলয়ে থাকা ওপেনার এনামুল হক ফেরেন ৮ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৫ রানের জুটিতে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান তামিম ইকবাল ও শামসুর রহমান। ২২ বলে ৩৬ রান করে ছক্কা মারার চেষ্টায় আউট হয়েছেন শামসুর। একটি ছক্কা মেরে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও আউট হয়ে গেছেন। তবে সাবধানী ব্যাটিংয়ে এবারের আসরের দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন তামিম। ইনিংস শেষে অপরাজিত থেকে যান ৫১ বলে ৫৪ রান করে।