নিজ বাসায় বসবাস, অন্যের বাসায় গোসল

45

শিক্ষার্থী সাদমানুর রহমান হালিশহরের বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে কে-ব্লকে থাকেন। নিত্যকাজে ব্যবহারের জন্য ওয়াসার পানি তাদের প্রধান ভরসা। কিন্তু আটদিন ধরে বাসায় আসছে না পানি। সেজন্য কিনে নেয়া জারের পানিতে খাওয়া-দাওয়া বাসায় চললেও গোসল করতে যেতে হচ্ছে আই-ব্লকে নানার বাসায়। সাদমানদের মতো নগরের অনেক বাসিন্দা এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন। কেউ কেউ আত্মীয়দের বাসায় গিয়ে গোসলসহ প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকে চড়া দামে পানি কিনছেন। কয়েকদিন ধরে নগরের বিভিন্ন এলাকায় চলছে পানির জন্য হাহাকার। চৈত্রের দাবদাহ শুরু হওয়ার এই সময়ে নগরের বেশকিছু এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
সাদমানুর রহমান বলেন, ওয়াসার পানি আসছে না। নলকূপের পানি থাকলেও সেগুলোতে আইরন বেশি। ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আসকার দিঘীর পাড় এলাকার বাসিন্দা সুব্রত ধর বলেন, পানির অভাবে চারদিন গোসল করিনি। খাওয়ার পানি দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে। খবর বাংলানিউজের
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাহাড়তলী, সরাইপাড়া, বারকোয়ার্টার, মধ্যম হালিশহর, কদমতলী, পূর্ব মাদারবাড়ী, নাজিরপোল, জামালখান, আসকার দিঘীর পাড়সহ বেশ কিছু এলাকায় ওয়াসার পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটির প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে ‘পানির মৌলিক অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।’ গতকাল শুক্রবার সকালে এনায়েত বাজার, সরাইপাড়া, ঝরনাপাড়া, আসকার দিঘীর পাড় সহ একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা দূর থেকে সংগ্রহ করে আনছেন পানি। বস্তি এলাকায় পানি না পেয়ে বাসিন্দারা ময়লাযুক্ত দূষিত পানি ব্যবহার করছেন। ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন এসব বাসিন্দারা। এদিকে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পানির সমস্যা সমাধানে কাজ করছে বলে জানিয়েছে।
ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী ইয়াকুব সিরাজ উদদৌল্লাহ বলেন, কলেজিয়েট স্কুলের পাশে গভীর নলকূপ মেরামত কাজ চলছে। এজন্য সেখানকার কিছু এলাকায় পানি সরবরাহ ঠিকমতো হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বহদ্দারহাট এলাকায় একটি পাইপলাইন লিকেজ হয়ে যাওয়ার কারণে নগরের বেশকিছু এলাকায় পানি যায়নি। পাশাপাশি অনেক জায়গায় পানির চাপ কম ছিল। ইতোমধ্যে পাইপলাইন সংস্কার হওয়ায় পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে।