নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন বিএনপি নেতারা

78

ঈদের আনন্দ একেকজনের কাছে একক রকম। ছোটরা যেমন নতুন জামায় ঈদের আনন্দ খুঁজে পায়, তেমনি কেনাকাটায় ঈদের আনন্দ খুঁজে পান বড়রা। বিভিন্ন পেশাজীবীদের ঈদের আনন্দও ভিন্ন। এর বাইরে রাজনীতিবিদদের ঈদের আমেজ যেন পুরোটাই ভিন্ন। নেতাকর্মীদের যাতায়াতে রাজনৈতিক নেতাদের ঘর থাকে মুখরিত। আর সেটি যখন নেতার পৈত্রিক বাড়িতে হয় তখন তো কথাই নেই। এ কারণে বরাবরের মতো এবারও বিএনপির শীর্ষ নেতারা ঈদ করবেন তাদের নিজ বাড়িতেই।
দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপির নেতাদের এলাকায় থাকার নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্র থেকে। ফলে বিএনপি নেতারা এবার নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। কেউ কেউ বাইরে ঈদের নামাজ আদায় করলেও ফিরে যাবেন নিজ গ্রামে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নিজ নির্বাচনী এলাকাতেই ঈদের নামাজ আদায় করবেন। তিনি কাট্টলীর নাজির বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের জামাতে অংশ নিবেন। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ঈদের পরের দিন মেহেদীবাগের বাসায় তিনি নেতাকর্মী ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করবেন।
বরাবরের মতো জমিয়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। এরপর তিনি রাউজানের গহিরায় মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে যাবেন। ঈদের দিন আত্মীয়-স্বজনের সাথে সময় কাটাবেন নোমান। পরের দিন নগরীর ভিআইপি ব্যানকুইটে নেতা-কর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সেখানে মেজবানের আয়োজন থাকবে।
আরেক ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ঈদের নামাজ আদায় করবেন জমিয়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদে। এরপর তিনি হাটহাজারীর গ্রামের বাড়িতে মা-বাবার করব জিয়ারত করতে যাবেন। সেখানে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বিকেলে তিনি নগরীর চট্টেশ্বরী রোডের বাসায় নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম নিজ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। পরের দিন তিনি ফিরে আসবেন নগরীর কদমতলীর বাসায়। সেখানে প্রতিবছর ভিড় করেন নেতাকর্মীরা। তিনি তাদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং আপ্যায়ন করান।
মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, ঈদের নামাজ গ্রামের বাড়িতেই আদায় করবো। পরের দিন কদমতলীর বাসায় আসবো। বাসায় নেতাকর্মীরা আসেন, তাদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি। তাছাড়া আমি নিজেও বিভিন্ন নেতার বাসায় যাই। সবার খবরাখবর নিই। সবার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে দিন কেটে যায়।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন নগরীর জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। পরে বাকলিয়ায় নিজ বাসায় পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। সেখানে নেতাকর্মীদের সাথে তিনি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বরাবরের মতো ঈদের পরের দিন নগরীর রীমা কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের আয়োজন করবেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদে আমি ঈদের নামাজ আদায় করি। এরপর বাকলিয়ার নিজ বাসায় পরিবারের সাথে ঈদের সময়টুকু ব্যয় করি। নেতাকর্মীরা বাসায় আসেন। সবার সাথে কুশল বিনিময়ে সময় কেটে যায়। পরের দিন রিমা কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের আয়োজন করি। সবাইকে আপ্যায়ন করানোর জন্য এ মেজবানের আয়োজন করা হয়।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর জমিয়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। তিনি চৈতন্যগলি কবরস্থানে মা-বাবার ও ভাইয়ের কবর জিয়ারত করবেন। পরে তিনি এনায়েত বাজার বাটালি রোডের নিজ বাসায় নেতাকর্মীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আমি জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকি। এরপর মা-বাবার কবর জিয়ারত করি। বাসায় নেতাকর্মীরা আসেন, তাদের আপ্যায়ন করাই। শুভেচ্ছা বিনিময় করি।
জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করবেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান। এরপর চান্দগাঁওয়ে নিজ বাসায় অবস্থান করবেন। সেখানে আসা নেতাকর্মীদের আপ্যায়ন ও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেই সময় কাটাবেন।
আবু সুফিয়ান বলেন, আমি জমিয়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করি। এরপর নিজের বাসায় অবস্থান করি। বাসায় নেতাকর্মীরা আসেন, তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করি।