নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত নুরুল আলম চৌধুরী

103

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক রাষ্ট্রদূত, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম চৌধুরীর ৩ দফা জানাজা শেষে নিজ গ্রাম ফটিকছড়ি লেলাং ইউনিয়নের পারিবারিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে নগরের জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে প্রথম জানাজা, ২য় জানাজা দুপুর ২টায় ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে ও বিকাল ৪টায় মরহুমের নিজ গ্রামে মতিয়ুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৩য় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে।
জানাজার নামাজে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চন্দনাইশের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, স›দ্বীপের মাহফুজুর রহমান মিতা, ফটিকছড়ির নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, ফটিকছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান এম তৌহিদুল আলম বাবু, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুশফিকুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জানে আলম, ওসি মো. বাবুল আকতার, ফখরুল আনোয়ার, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য আকতার উদ্দিন পারভেজ, এইচ এম আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুল হক, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী, জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ সহ হাজারো মানুষ অংশ নেন।
গত ২৭ জানুয়ারি ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে নুরুল আলম চৌধুরী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
বরেণ্য এ রাজনীতিক ছাত্র জীবনেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর পার্লামেন্টে মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি কারা নির্যাতনের শিকার হন। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের তিন বারের সহ-সভাপতি, দপ্তর সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গভীর শোক এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
­