নিজেকে রামোস ভাবতে চান না ইয়াসিন

20

ডিফেন্ডার হয়ে জাতীয় দলে এক জোড়া গোল করে ম্যাচ জেতানোর ঘটনা বাংলাদেশের ফুটবল ঠিক কবে দেখেছে সেটা ঠাওর করা কঠিন। তবে, এদিন ভুটানের জালে দুই দুইবার জাল ভেদ করে ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন। নিকট অতীতে ডিফেন্ডার তপু বর্মণও লাল-সবুজ জার্সিতে গোল করে বাংলাদেশ দলকে জিতিয়েছেন।
ইনজুরিতে স্কোয়াডের বাইরে তপু বর্মণের অনুপস্থিতি যেন ভুলতেই দিতে চান না সতীর্থ ইয়াসিন খান। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ভুটানের সঙ্গে শেষ ম্যাচে জোড়া আঘাতে একাই যেন উড়িয়ে দিলেন। পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
ডিফেন্ডারদের গোলে জয়ের পরপরই যেন দেশের ফুটবল আকাশে বিভিন্ন উপমা দেয়া শুরু হয়। কখনও হালের রামোস বা পিকে নাম আখ্যা দেয়া হয়। তবে এই উপমাটা একেবারেই নিতে চান না ইয়াসিন। নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে নিজের পরিচয়ে দেশকে চেনাতে চান বরিশালের এই ফুটবলার। অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে রামোসকেই আদর্শ মানেন ইয়াসিন।
তবে নিজ পরিচয়ে যে চেনাতে চান সেটাও উল্লেখ করতে ভুলেননি ইয়াসিন, ‘না না মোটেও না। আমি ইয়াসিন, ইয়াসিনই।’
ক্রীড়াবিদরা অবশ্য নিজের পরিচয় জানান দেন পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে। ইয়াসিন সেটাই করেছেন। দলের আক্রমণভাগ যখন বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল তখন ভুটানের বিপক্ষে দেশকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলেন ইয়াসিন। বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। এই স্কোরেই মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
এতোদিনে দেশের ফুটবলের চোখে নয়নমনি হয়েছেন ইয়াসিন খান। যদিও জাতীয় দলে অভিষেকটা প্রায় পাঁচ বছর আগে তার। বহুদিন পর এমন গোল পারফরম্যান্সে বেশ খুশি ইয়াসিন, ‘অনেকদিন পরে গোল পেলাম। মাঝখানে একটা মৌসুমে ইনজুরিতে ছিলাম। সেজন্য কামব্যাক করে শেখ রাসেলে খেললাম। জাতীয় দলে কামব্যাক করেছি।’
দলে রক্ষণভাগকেও অভিজ্ঞতা দিয়ে সহযোগিতা করছেন তিনি, ‘ওরা সবাই তরুণ। ওদেরকে সময় দিলে ওরা ভালো খেলবে।