নিজেকে অন্যরূপে চেনালেন সৌম্য

27

গতকাল ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্ঝ যে শৈল্পিক ব্যাটিং শুরু করেছিলেন তা শেষ পর্যন্ত রীতিমতো তাÐবে রূপ নেয়। টাইগার বোলারদের জন্য মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ১০ বলে ৩২ রানের ইনিংসটি। মোস্তাফিজ, রুবেল, মাশরাফিদের এক কথায় কাঁদিয়ে ছেড়েছেন অজি ব্যাটাররা। তবে এই দুর্দিনে বল হাতে নিজেকে অন্যভাবে চেনালেন অনিয়মিত বোলার সৌম্য সরকার। মূল বোলাররা যেখানে উইকেটের জন্য গলদঘর্ম হয়েও সফলতা পাননি সেখানে ব্যাটিং অলরাউন্ডার সৌম্য অজিদের তিনটি উইকেট তুলে নেন। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রান বন্যায় কিছুটা হলেও বাধ দেন তিনিই। তার বোলিং ফিগার ৮-০-৫৮-৩।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৪৯তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নেমেছেন সৌম্য। এর আগে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলের প্রয়োজনে বল করেছেন তিনি। সাফল্য পাননি বললেই চলে। গত বছর সেপ্টেম্বরে আবুধাবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। বল হাতে এটিই ছিল তাঁর একমাত্র সাফল্য। সেই সৌম্য গতকাল অস্ট্রেলিয়ার মতো দুর্দান্ত ব্যাটিং আক্রমণের সামনে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। এটি শুধু তাঁর বল হাতে সেরা সাফল্য নয়, নিজেকে অন্যভাবে চিনিয়েছেন তিনি।
কারণ এদিন বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনের সামনে অসহায় ছিলেন। বোলারদের নেওয়া চারটি উইকেটের মধ্যে তিনটি উইকেটই নিয়েছেন তিনি, বাকি একটি উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান। মাশরাফি, সাকিব, রুবেল ও মিরাজ প্রায় সব বোলারই মার খেয়েছেন।
গতকাল নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতল অস্ট্রেলিয়াই। অ্যারন ফিঞ্চ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন। ২০ ওভার পর্যন্ত ফিঞ্চ আর ওয়ার্নারের জুটি ভাঙা গেল না। মাশরাফি-মুস্তাফিজ-সাকিব-মিরাজ নন, জুটিটা ভাঙলেন সৌম্য! ২১তম ওভারে সৌম্যর বলে রুবেলকে ক্যাচ দিলেন ফিঞ্চ। তখন অস্ট্রেলিয়ার রান এক উইকেটে ১২১। ওয়ার্নারকে সহজে থামানো গেল না। ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন তিনি। যার মধ্যে ছিল ১৪টি চার ও পাঁচটি ছয়। খাজাকে নিয়ে ওয়ার্নার ঝড়ের বেগে রান তুললেন। ৩১৩ রানে এসে ওই জুটি ভাঙে। তাদের দু’জনকেও সাজঘরের পথ দেখান সৌম্যই। পরে নামেন ম্যাক্সওয়েল। শুরু করেন নতুন ঝড়। মাত্র ১০ বলে করেন ৩২ রান। যার মধ্যে ছিল তিনটি ছয় ও দুটি চারের মার। দুর্দান্ত রান আউটে ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান রুবেল।