নারীসহ ১১ রোহিঙ্গা আটক

23

সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ১১ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে চারজন নারী। তাদের মধ্যে কেউ চাকরির জন্য আবার অনেকে বিয়ের প্রলোভনে পড়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আটক রোহিঙ্গারা হলো, রাফিউল কাদের (২১), ইলিয়াস রিয়াজ (১৬), মোহাম্মদ আইয়ুব (১৮), আমির হাকিম (১৩), মোহাম্মদ ইলিয়াস (২০), ইব্রাহিম (১৭), জানে আলম (৮), আরেছা বিবি (২১), তসলিমা (১৫), হারিদুর ইয়াসমিনা (১৯) ও জাহেরা (১৭)। তারা সবাই উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা।
গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে আটক রোহিঙ্গাদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া এলাকা দিয়ে কিছু রোহিঙ্গা সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য জড়ো হওয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় চার নারীসহ ১১ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
আনোয়ার হোসেন আরও জানান, মানব পাচারকারী চক্রটি আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তারা রোহিঙ্গাদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। মানব পাচারকারী চক্রটিকে ধরতে অভিযান চলছে।
টেকনাফ পৌরসভা প্যানেল মেয়র আবদুল্লাহ মনির বলেন, ‘উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার অবস্থান। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বিপদে পড়ছেন।
রোহিঙ্গা নেতাদের মতে, মালয়েশিয়ায় আত্মীয়-স্বজন রয়েছে এমন রোহিঙ্গারা উন্নত জীবনের আশায় টাকার বিনিময়ে শিবির থেকে বের হয়ে সমুদ্রপথে ওই দেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে। এসব রোহিঙ্গা দালালের সঙ্গে স্থানীয় দালালরাও যুক্ত আছে।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, হঠাৎ করে একটি দালাল চক্র রোহিঙ্গা শিবিরে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টা করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই চক্রকে গ্রেপ্তার ও প্রতিহত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।