নাট্যচর্চায় চট্টগ্রামের রয়েছে উজ্জ্বল ইতিহাস

169

বিশিষ্ট নাট্যকার ও মুক্তিযোদ্ধা মামুনুর রশিদ বলেছেন,বাংলাদেশের স্বাধীনতাত্তোর শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের উজ্জ্বল ইতিহাস ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা যাবে না। তিনি গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর স্টেডিয়ামস্থ জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণে অমর একুশে বই মেলা মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সহযোগিতায় বই মেলার আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন নাট্যকার রবিউল আলম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাট্যজন মামুনুর রশিদ মামুন বলেন,¯ ^াধীনতাত্তোর এ চট্টগ্রামই মুক্তিযুদ্ধের উত্তাপকে সবচেয়ে বেশি ধারণ করেছে । বাংলাদেশের মঞ্চ নাটক মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ শিল্প শষ্য। গত চার দশক ধরে বাংলাদেশের নাট্যকর্মীরা এ শিল্পধারাকে পরিচর্যা করেছে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাট্যচর্চার ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের নাট্যাঙ্গণ ছিল অদ্বিতীয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন,ভাষা আন্দোলন,মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি পর্বেই রয়েছে চট্টগ্রামের বিদ্রোহী ভূমিকা। প্রতিবাদ প্রতিরোধ চেতনাই তার প্রধান বৈশিষ্ঠ। তিনি বলেন, ভাষার মাসে দেশব্যাপী বইমেলার উদযোগ শুভ লক্ষন। চট্টগ্রামের একুশের বই মেলায়ও প্রানের সঞ্চার হয়েছে দেখে আমি আনন্দিত। সংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্বের এই দুঃসময়ে বই মেলার আয়োজন নতুন প্রজন্মকে ভার্চুয়াল জগতের অশুভ মোহ থেকে রক্ষা করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন আমরা চাই নাটক চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতিক চর্চায় নতুন প্রজন্ম আবহমান বাঙালির চিরায়ত রূপকে উপলব্ধি করুক। কারণ এর মাধ্যমেই জীবনের দুঃখ-কষ্ট ব্যাথা বেদনা ও দ্রোহের আগুন মানুষের মাঝে সঞ্চারিত হয়। তিনি এই শুভ উদ্যোগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনার এই ধরনের উদ্যোগ আগামীতেও যাতে অব্যাহত থাকে। তাহলে নতুন প্রজন্মকে অপসংস্কৃতি ও মাদক-জঙ্গীবাদের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউট এর আধুনিকায়নের কথা উল্লেখ করে বলেন এখান থেকেই নাট্যকার সৃষ্ঠিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। শুরুতে মেলা মঞ্চে মাইজভান্ডারী গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। খবর বিজ্ঞপ্তির