নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজন কারাগারে

34

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তসলিম ইকবালকে ক্ষমতা অপব্যবহার দায়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তসলিম ইকবালসহ তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ মার্কেট থেকে একটি দোকানঘর ভাড়া নেন শামসুল আলম নামে এক ভাড়াটিয়া। ওই ভাড়াটিয়ার দোকানঘরের মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত থাকলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে চেয়ারম্যান তসলিম ইকবালের দোকানঘরের তালা ভেঙে দোকানের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেন। এই ঘটনায় শামসুল আলম বাদি হয়ে গত ২৯ জুলাই বান্দরবান আদালতে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন। গতকাল মামলার ধার্য্য তারিখে চেয়ারম্যান তসলিম ইকবালসহ অন্যান্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক মোহাম্মদ হাসান যুক্তিতর্ক শেষে তিন আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, একই পরিষদের সচিব ছৈয়দ আলম ও ইউছুপ খান। জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী উবাথোয়াই মারমা।
তিনি আরও জানান, একজন সচেতন জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম আদালতের বিচারক হয়েও আসামি বেআইনী কাজ করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের ভাড়া নেয়া দোকানের মেয়াদ থাকার পরও বাদির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনধিকার প্রবেশ করে লুটপাট করে বাদীর ক্ষতি সাধন করেছেন। এই ঘটনায় আদালতের রায়ে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী কর্তৃক রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্মনিবন্ধন, জাতীয় সনদ, হেডম্যান সনদসহ পাসপোর্টের যাবতীয় কাগজপত্র সত্যায়ন করে সমালোচনার জন্ম দেন। ওই সময় কৌশলে তিনি পার পেয়ে যান। এছাড়াও চেয়ার‌্যম্যান তসলিম ইকবালের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।