নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাহাড় বেষ্টিত গ্রামে খাবার পানির সংকট

76

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাহাড় বেষ্টিত গ্রাম গুলোতে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রচন্ড গরমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় উপজেলায় অন্তত দুই শতাধিক নলকূপ অচল হয়ে পড়েছে। এতে ঘরে ঘরে খাবার পানির হাহাকার চলছে। অনেকে পুকুর, লেক ও ছড়ার ময়লা পানি খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বাসিন্দা সংবাদকর্মী জাহাঙ্গীর আলম কাজল বলেন, দীর্ঘ খরায় ঝিরি-ছড়ার পানির উৎস বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তীব্র তাপদাহে বন্যপ্রাণীরা পানির উৎস খোজে ঝিরি-ছড়ায় নেমে এসেছে। ফলে পানির শেষ উৎস গুলো এখন দূষিত হয়ে পড়েছে। বাইশারী ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল কবির রাশেদ বলেন, তাদের বাড়ির একটি নলকূপ ছাড়াও তার বাড়ির আশপাশের আরও কয়েকটি নলকূপ থেকে পানি কম উঠছে।
পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ দশার সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে উপজেলার সদর নাইক্ষ্যংছড়ি, বাইশারী, দৌছড়ি, ঘুমধুম ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামে খাবার পানির হাহাকার চলছে। এসব গ্রামে প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসবাস। সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বাহান মার্মা জানান, তার ইউনিয়নে উপজাতীয় পল্লীর অর্ধশতাধিক টিউবওয়েল অচল হওয়ায় নারী ও শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে পাহাড়ি ছড়া, ঝিরি ও লেকের পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে।
এ কারণে শত শত কৃষকের চাষাবাদও ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানান, প্রচন্ড গরমে শুষ্ক মৌসুমের তিন মাস পাহাড়ি এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। এবারও তাই হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দাবদাহে পাহাড়ি ছড়া ও ঝিরির পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এখন অনেকে পুকুর, খাল-বিল, উপবন লেকের ময়লা পানি খেয়ে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজিজ জানান, প্রচন্ড গরমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ গুলোতে পানিশূন্যতা দেখা দিচ্ছে। কিছু স্থানে ১৫০ ফুট নিচে গিয়েও নলকুপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।