নরসিংহ আখেড়ায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক ও নৃত্যানুষ্ঠান

79

জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে চকবাজার নরসিংহ আখেড়া মন্দির প্রাঙ্গণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক ও নৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠান গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।
পূজা কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও বেতার শিল্পী মানিক নন্দীর পরিচালনা ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রুমন ভট্টাচার্য্যরে সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শুরু হয় বিকাল ৫টায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের মহিলা সম্পাদিকা রূমকী সেনগুপ্তা।
শুরুতে ‘বছর বছর আসতে হবে’ প্রথম গান নিয়ে মঞ্চে আসেন শিল্পী স্বপ্ননীল দে (শ্রাবন্তী)। এরপর ‘ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে’ পরিবেশন করেন শিল্পী অসমিত সরকার। সৈকত চৌধুরীর কন্ঠে ‘আয়রে আয় বেলা বয়ে যায়’, পুষ্পিতা দে পরিবেশন করেন ‘মা যশোদা গো’, ‘বাঁশিতে কইরাছে’ পরিবেশন করেন সঞ্জয় চৌধুরী, ‘আছে গৌর নিতাই’ পরিবেশন করেন মসকুরা সুলতানা, ‘সবযোগে তুমি গো মা’ পরিবেশন করেন অন্বেষা চৌধুরী ও নম্রদা বড়–য়ার কণ্ঠে ‘তোরে বানাইয়া রাই’।
এরপর একক নৃত্য পরিবেশন করেন জয়ীতা দে ও চৈতী শর্মা। চন্ডীপাঠ করেন বিশিষ্ট শিল্পী রূপা রায় চৌধুরী।
শিল্পী অর্পিতা ভদ্র প্রাপ্তির সঞ্চালনায় সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মঞ্চে জগদ্ধাত্রী মাগো তুমি আবার এসো ফিরে’ ও ‘জগদ্ধাত্রী মা’র চরণে ফুল হতে চাই’ পরপর দুটি দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী মানিক নন্দী ও অনুরাগ সঙ্গীতালয়ের শিল্পীবৃন্দ।
দলীয় সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেন শিল্পী টুম্পা দাশ, প্রেমা দে, তন্দ্রা নন্দী, মনিষা মুহুরী, হিমু, সাথী দেব, শরীফ, তৃষা চৌধুরী, রোকসানা।
এরপর একক সংগীতানুষ্ঠানে ‘জগজ্জননী মা এসেছে’ গান নিয়ে মঞ্চে আসেন শিল্পী তাপস দে, ‘শ্যামল তনুতে হলো আবিরেতে’ পরিবেশন করেন লীজা তালুকদার, সুমন ঘোষের কণ্ঠে ‘তিমির বিধারি অলক বিহারী’, বেতার শিল্পী দীপক আচার্য্যরে কণ্ঠে ‘আমার শ্যাম সুখ পাখি ও মিলন হবে কত দিনে’, সুকুমার দে পরিবেশন করেন ‘জানিতে চাই দয়াল তোমার’ ও ‘বন্দে মায়া লাগাইছে’।
এরপর দ্বৈত নৃত্য পরিবেশন করেন জয়িতা দে, ও চৈতী শর্মা।
যন্ত্রসংগীতে ছিলেন-কী বোর্ড : প্রণব দাশ, অক্টোপ্যাড : দীপক, তবলায় : টিটু চক্রবর্তী ও গীটারে তন্ময় নন্দী।
শেষে অনুরাগ সংগীতালয়ের পক্ষ থেকে ১ম পর্বে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া চন্ডীপাঠের শুরুতে শিল্পী রূপা রায় চৌধুরীকে ফুল ও বস্ত্র দিয়ে বরণ করেন স্বপ্ননীল দে (শ্রাবন্তী) ও চুমকী দে। ১ম পর্বে ছোটদের গানের অনুষ্ঠানে বিচারক ছিলেন শিল্পী দীপক আচার্য্য ও তাপস দে।