নভেম্বরে ১৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

20

টেকনাফ স্থল বন্দরে গত নভেম্বর মাসে সাড়ে ১৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই মাসে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব আদায় একটু কম হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
গত রবিবার রাতে টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন এসএমএসের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের নভেম্বর মাসে ৪৮৪টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু এ মাসে এনবিআর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ লাখ ১৯ হাজার টাকা কম আদায় হয়েছে। এ মাসে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ১২৫ কোটি ৫৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার। বিশেষ করে এ মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে রাজস্ব মওকুপ করা হয়েছে।
এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে মিয়ানমার থেকে ৪২৩১টি গরু, ১৮৭৮টি মহিষ আমদানি করে ৩০ লাখ ৫৪ হাজার ৭০০ টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। অন্য দিকে ৪৯টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে মিয়ানমারে ২ কোটি ৪৩ হাজার টাকার পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত মাসে পেঁয়াজ আমদানি বেশি হওয়া অন্য পণ্য কম এসেছে। তাই মাসিক রাজস্ব আদায় একটু কম হয়েছে। ব্যবসায়ীরা দেশের স্বার্থে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। তবে এখন অন্যান্য পণ্যের আমদানি বাড়াতে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করলে পণ্য আমদানি বাড়বে। ব্যবসায়ীদের এখনও নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। বন্দরে এখনও পর্যাপ্ত শ্রমিক ও অবকাঠামোর অভাব বিরাজ করছে। এসব সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রূত ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যকে গতিশীল করতে দুদেশের সমন্নিত উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করেছেন তারা।