নতুন সাজে কাপ্তাই প্রশান্তি পার্ক

461

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার অপরুপ সৌন্দর্য্যরে লীলা ভূমি ও পাহাড় লেক ঘেঁষে গড়ে উঠেছে প্রাকৃতিক দৃশ্যময় কাপ্তাই উপজেলা। কাপ্তাই উপজেলার প্রতিটি দৃশ্যময় স্থানেই রয়েছে চোখ জুরানো পিকনিক স্পট। সবুজপাহাড়, কাপ্তাই লেক ও কর্ণফুলী নদীসহ আঁকা বাঁকা পাহাড়ি পথ। এসব প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে পর্যটকদের আকর্ষণে সহজেই মন কেড়ে নেয়। বাড়তি আকর্ষণ ও ভ্রমন পিপাসুদের বিনোদন প্রদানের প্রয়াসে কাপ্তাইয়ের বালুচর এলাকা ও কাপ্তাই- চট্টগ্রাম সড়কের কোল ঘেঁষে নব রুপে নির্মিত হচ্ছে আকর্ষণীয় পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র প্রশান্তি পার্ক। পাহাড়, সবুজ বৃক্ষ ও কর্ণফুলী নদীসহ বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় স্পট নিয়ে ভ্রমন পিপাসুদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটন কেন্দ্রটি। কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত এ বিনোদন কেন্দ্র ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন ভ্রমন কেন্দ্র হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি লাভ করছে। কাপ্তাই-চট্টগ্রাম মহা-সড়কের একেবারে পাশে অবস্থিত হওয়ায় সড়ক পথে যে কোন সময় অতিসহজে প্রান্তিক পিকনিক স্পটে আসা যায়। অন্য দিকে রাঙামাটি শহর থেকে কর্ণফুলী নদীর কোল ঘেঁষে হওয়ায় সহজে নৌ পথে কম খরচে আসা যায় প্রান্তিক পিকনিক স্পটে। অসংখ্য গাছগাছালি ও পশু পাখির সমারহ রয়েছে প্রান্তিক পিকনিক স্পটে। গাছের মগডালে লম্বা লেজওয়ালা বানর ও হনুমানসহ বিভিন্ন প্রকার বন পশুর দেখা মিলে। এগাছ থেকে ও গাছে বানরে লাভালাভি দপাদপি দেখা যাবে এখানে। এছাড়াও হরেক রকম পাখির কলকলালিতো লেগেই আছে। প্রান্তিক স্পটে পর্যটক বসার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিতে বানানো সিমেন্টের চেয়ার ও মোড়া। শিশুদের জন্য জন্য রয়েছে আলাদা বিনোদন পার্ক। এছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন ভাবে যুবক যুবতি ও বয়স্বকদের আলাদা বসার স্থান রয়েছে। প্রান্তিক পিকনিক স্পট সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে নৌ ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকায় অনেক পর্যটক এখানে নৌ বিহারে বের হন। কাপ্তাই প্রশান্তি পিকনিক পার্কে আনন্দ-উল্লাসে করার জন্য পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে কর্ণফুলী ও কাপ্তাই লেক। এখানে রয়েছে র্নিমল কোলাহল মুক্ত পরিবেশ। আনন্দ উৎসব করার বিশাল সমারহ। নেই কোন জামেলা যার যার পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা মনে আনন্দ ফূর্তি করা যায়। আবার চাইলে রাত্রি যাপন করাও যাবে। রয়েছে প্রশান্তি পার্কের নিজস্ব রেস্টুরেন্ট যা কম খরচে খাবার পরিবেশন করা হয়। তাই প্রশান্তি পিকনিক স্পটে কার পা ফেলাতে মন চায় না। এখানে পর্যটকরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য রয়েছে কাঁঠের তৈরী মনোমুগ্ধকর মঞ্চ। তাই পিকনিকে আসা পর্যটকেরা খেয়ে দেয়ে নাচে গেয়ে হৈহুল্লাহ করে এ মঞ্চ মাতিয়ে তুলবে। এখানে ৫হাজার লোকের সমাগমের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে নারী পুরুষের জন্য পৃথক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন টয়লেট সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ রয়েছে। প্রশান্তি পার্কের পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা ব্যবসায়িক দিক বিবেচনা না করে পর্যটকদের বিনোদনের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষেই এটির লাভ লোকসান হিসাব মাথায় না রেখে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেআসছি। তবে আমাদের মূল উদ্দেশ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ভ্রমণ পিপাসুদের একটু বিনোদনের ব্যবস্থা করে দেয়া। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক পিপাসুরা কাপ্তাইয়ের প্রশান্তি পার্কের ঘুরতে আসে। এখানে সব চেয়ে মজার বিষয় যেটি সেটি বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত হতে সরাসরি সড়ক যোগে যানবাহন করে কাপ্তাই প্রশান্তি পার্কে আসা যায়। যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাপ্তাই আসা একেবারে সহজ। কাপ্তাই প্রশান্তি পার্কের ম্যানেজার মো. মাসুদ তালুকদার বলেন, পার্কের মালিক পক্ষ পর্যটকদের সেবায় এ পার্ক নিয়ে আরো নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এখানে পর্যটক বিনোদনের জন্য আরো পিকনিক স্পট বাড়াবেন। প্রশান্তি পার্ক পর্যটক সেবার দিক দিয়ে ব্যতিক্রম ধর্মী একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান সুনামের সহিত পর্যটক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।