নতুন সরকারের পরিকল্পনা উন্মোচন বিজেপির

25

বুথফেরত জরিপে জয়ের আভাসের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে বিজেপি। এরইমধ্যে সরকার গঠনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি প্রধান অমিত শাহ মঙ্গলবার একটি পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন। একে এনডিএ-২ জোট সরকার গঠনের ব্লু-প্রিন্ট নাম দিয়েছেন তারা। বিগত সরকারের ধারাবাহিকতায় এবার দ্বিতীয় ধাপে এনডিএ জোট সরকার গঠিত হলে সেই সরকার কেমন করে পরিচালিত হবে, তাদের অগ্রাধিকার কী হবে; মোদি-অমিতের উন্মোচিত পরিকল্পনায় সেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সাত দফায় অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ১৯ মে। আজ ২৩ মে ফল ঘোষণা করা হবে।
১৪টি বুথফেরত জরিপের মধ্যে ১২টি-ই আভাস দিয়েছে আবারও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। জরিপগুলোতে ওই জোটের ২৮২ থেকে ৩৬৫টি আসন পাওয়ার আভাস মিলেছে। জরিপের ফলাফল নিয়ে তেমন একটা উচ্চবাচ্য না করলেও বিজেপি তার জোট শরিকদের সঙ্গে আলোচনা থামিয়ে রাখেনি। মঙ্গলবার জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট তথা এনডিএ শরিকদের জন্য অশোকা হোটেলে নৈশভোজের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দলীয়ভাবে জানানো হয়েছে, শরিকদের সবার সম্মতিক্রমে মোদি-অমিত শাহ পরবর্তী এনডিএ সরকারের রূপরেখা ও অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোকে এক সমন্বিত পরিকল্পনা আকারে হাজির করেছেন।
সরকার গঠনে সমর্থ হলে পরবর্তী ৫ বছর ভারতের সরকার পরিচালিত হবে ঘোষিত ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী। একে আগামী সরকারের বøু-প্রিন্ট বলছে বিজেপি। জাতীয় নিরাপত্তা, জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়ন- এ তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সেখানে। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, মঙ্গলবার এনডিএ নেতাদের নৈশভোজ অনুষ্ঠানে এনডিএ শরিক দলের ৩৬ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। তিনজন এনডিএ মিত্র উপস্থিত হতে না পারলেও তারা লিখিতভাবে সমর্থন জানিয়েছেন।
প্রস্তাবে গত পাঁচ বছরে এনডিএ সরকারের সফল স্কিমগুলো সম্পর্কে উল্লেখ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতের লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘গত পাঁচ বছর ধরে মানুষের মৌলিক প্রয়োজন পূরণ করার জন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।

পরবর্তী পাঁচ বছরে আমরা অগ্রগতির গতি বাড়াবো ও জনগণের অন্য প্রয়োজনগুলো পূরণ করবো।’
রাজনাথ আরও জানান, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসবাদবিরোধী পদক্ষেপ, অর্থপাচার ও বৈশ্বিক উষ্ণতারোধে ভারত কীভাবে বৈশ্বিক ডিসকোর্সকে প্রভাবিত করে, তারও উল্লেখ রয়েছে প্রস্তাবে। একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তাকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে নিয়েছে এনডিএ জোট। এ ব্যাপারে রাজনাথ বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে এনডিএ সরকারের অবস্থান দৃঢ় এবং আমি বলতে পারি কূটনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ে ভারত নমনীয় বলে যে ধারণা ছিল তা পাল্টে গেছে। নৈশভোজের আগে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়েও দীর্ঘ বৈঠক করেন মোদি। তবে বৈঠকের আলোচ্য বিষয় জানা যায়নি।