নতুনদের জায়গা ছেড়ে দিতে হয় : তোফায়েল

63

মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথের আগে সচিবালয়ে নিজেদের শেষ কর্মদিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়ে নতুনদের জায়গা দিতে পুরনোদের সরে যাওয়া চিরায়ত নিয়মের কথাই বলেছেন বিদায়ী মন্ত্রীরা। গতকাল সোমবার দুপুরের পর শেখ হাসিনার চতুর্থ মেয়াদের সরকারের সদস্যরা শপথ নেন। এই সরকারে বাদ পড়েছেন গত সরকারের প্রবীণ মন্ত্রীদের প্রায় সবাই।
নতুন সরকারের শপথের আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে বিদায় নেন। খবর বিডিনিউজের
৯ বছর বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর স্থান ছেড়ে দিতে পেরে নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ মনে করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল। তিনি বলেন, ‘নতুনদের জায়গা দিতে হয়, এটাই স্বাভাবিক, এটাই নিয়ম। আমি সৌভাগ্যবান’। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য নতুন সরকারের সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘যারা মন্ত্রী হচ্ছেন তারা সবাই চমৎকার মানুষ, সৎ, পরীক্ষিত এবং দীর্ঘদিনের রাজনীতিক, এটা তাদের প্রাপ্য’। বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে যাওয়া টিপু মুনশিকে ‘বিনয়ী মানুষ’ উল্লেখ করে তার সফলতা প্রত্যাশা করেন বিদায়ী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল।
টানা দুই মেয়াদে সরকারে থাকা কামরুল বলেন, ‘নতুনদের জন্য পুরাতনদের জায়গা ছেড়ে দিতে হয়’। ‘ভালো মন্ত্রিসভা হয়েছে’ মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করছি, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে’।
খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন সরকারে যোগ দিচ্ছেন নওগাঁর সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার।
দায়িত্ব পালনের শেষ দিনেও অটিজম আক্রান্তসহ প্রতিবন্ধীদের যেন কোনোভাবেই অবহেলা না করা হয়, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এ সংক্রান্ত আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করতেও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে যান তিনি।
এতোদিন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নুরুজ্জামান আহমেদ নতুন সরকারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। ময়মনসিংহের সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদকে করা হয়েছে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী।