নজরুলের মানবতার সুর ও স্বর শিল্পীদের ধারণ করতে হবে

37

কবি নজরুলের মানবতার সুর ও স্বর শিল্পীদের ধারণ করতে হবে। কারণ নজরুলের সৃষ্টিতে মানবপ্রীতি এবং মানুষের মেল-বন্ধনের কথা বারবার ধ্বনিত হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে এই কথামালা দিয়ে শুরু হয় ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গন আয়োজিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ‘আজ কেবলি নজরুল’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। ক্বণন সভাপতি আবৃত্তি শিল্পী মোসতাক খন্দকারের সভাপতিত্বে কদম মোবারক স্কুল হলে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক সংগঠক ও আবৃত্তি শিল্পী শাওকি ইবনে সাফওয়ান। স্বাগত বক্তব্য দেন ক্বণন কার্যকরী পরিষদ সদস্য রাশেদ মুহাম্মদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী মোহাম্মদ ওয়াসিম।
অনুষ্ঠানে নির্ধারিত আলোচক সাংস্কৃতিক সংগঠক ও আবৃত্তি শিল্পী শাওকি ইবনে সাফওয়ান বলেন, নজরুল আমাদের অহংকার। সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে তাঁকে মূল্যায়ন করতে হবে। নজরুলকে নিছক বিদ্রোহের কবি বলে সীমাবদ্ধ করা উচিত নয়। তিনি প্রেমেরও কবি, বিরহেরও কবি। নজরুলকে কেবল জাতীয় কবি হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার মধ্যে দায়িত্ব সীমাবদ্ধ না রেখে তাঁর সমগ্র সৃজনশীলতাকে সংরক্ষণ ও প্রচার এবং নজরুল সাহিত্যের বাচিক রূপকে স¤প্রসারিত করার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
জাতীয় কবিকে নিবেদিত কথামালা এবং তাঁর রচনার আবৃত্তি নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নজরুলের রচনাসম্ভার থেকে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ মুহাম্মদ, সৌভিক চৌধুরী, তৃষা সেন, মোহাম্মদ ওয়াসিম, শরীফ মাহমুদ, সাইমুম মুর্তজা, মার্টিনা সরকার, আবসার উদ্দিন তানিম, সায়েম বিন আলিম, রুহুল্লাহ খান আকমল, অভিধা চাকমা, সোহাইল ও আসমা বুশরা তাসিন। নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাশেদ মুহাম্মদ, শুভ্রা চক্রবর্তী, প্রেমা চৌধুরী ও আই এইচ তুষার। বিজ্ঞপ্তি