নগর থেকে সব মদের দোকান উচ্ছেদের ঘোষণা মেয়রের

92

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সরকারের এই নীতি বাস্তবায়নে হালিশহরসহ নগরীর কোথাও মাদক বিক্রেতা, মাদকসেবীদের স্থান হবে না। আগামী প্রজন্মকে মুক্ত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, মদের উৎস যদি বন্ধ না হয়, তাহলে মাদককে নির্মূল করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। নগরবাসীর সহয়োগিতা নিয়ে চট্টগ্রাম নগর থেকে সব মদের দোকান উচ্ছেদ করা হবে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ হালিশহরস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) আয়োজিত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক বিরোধী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় মেয়র স্থানীয় জনসাধারণের সাথে মতবিনিময়ও করেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জিয়াউল হক সুমন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রাজনীতিবিদ হাজী হারুনুর রশিদ, চসিক আইনশৃঙ্খলা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওসমান গণি, চসিকের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ আসলামসহ স্থানীয় মুরুব্বি সুলতান নাছির উদ্দিন, আবু তাহের, অধ্যক্ষ এহতেশামুুল হক, ওয়াসিম আকরাম, মোহাম্মদ সেলিম ও নারী নেত্রী শারমিন পারু সুলতানা এবং সিমেন্ট ক্রসিং জামে মসজিদের খতিব হাজী মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন মো. শফিউল আলম। সভায় রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিটি মেয়র বলেন, একজন মানুষকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দেয় মাদক। মাদক শুধু একজন মানুষকে নয়; তার সাথে তার পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। তিনি বলেন, হালিশহর একটি আবাসিক এলাকা। এ এলাকার মাইলের মাথায় একটি মদের দোকান আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে অভিযোগ করেছেন। যা এলাকার জনসাধারণ ও আমার জন্য দুঃখজনক। আবাসিক এলাকায় মদের দোকান থাকতে পারে না। মাদকের সঙ্গে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এটা সমাজের জন্য একটি মরণ ব্যাধি। এই মরণব্যাধি তরুণ সমাজের মন-মানসিকতা, স্বাস্থ্যহানী ও সমাজকে কলুষিত করে দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড (ফিডার রোড-১) এর ক্ষতিগ্রস্তদের উচ্ছেদ, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে এলাকাবাসী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পুনর্বাসনে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলবেন বলে স্মারকলিপি প্রদানকারীদের আশ্বস্ত করেন।
সভা শেষে সিটি মেয়র পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ, পোর্ট কানেকটিং রোড ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের উন্নয়ন এবং আউটার স্টেডিয়ামের সৌন্দর্যবর্ধন কাজও সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় চসিক কাউন্সিলর হাজী মো. জয়নাল আবেদীন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহানুর বেগম, চসিক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়বসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে মেয়র কাজের গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। বিজ্ঞপ্তি