নগরে চালু হল ওএমএস ত্রাণই ভরসা গ্রামে

44

কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের কারণে কার্যত অচল দেশ। এ অবস্থায় গত ১০ দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামে তিন দফায় ৫৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে নগরের ৩৩ স্পটে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি শুরু করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। ১০ টাকা দামে ওএমএস চাল বিক্রিতে নগরীর দুস্থ মানুষের মধ্যে প্রাণ ফিরেছে। অন্যদিকে গ্রামের গরীবদের কাছে ত্রাণই ভরসা।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ১০ টাকা কেজি দামে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালনায় এ চাল বেশ কিছু স্পটে পাওয়া যাবে। নিম্ন আয়ের লোকজন ১০ টাকা দামে চাল কিনতে পারবে। সেখানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চাল গ্রহণ করতে হবে।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মহানগর এলাকায় খাদ্য অধিদপ্তরের ১৫ জন তালিকাভুক্ত ডিলার আছে। এতদিন ধরে এ ১৫ জন ডিলার ৩০ টন চাল বিক্রি করে আসছিল। প্রতি রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ওএমএসের চাল বিক্রি হয়ে আসছিল। করোনার এ সময়ে ওমএমএস চাল বিক্রি আবারো শুরু হলে প্রথমদিনেই নগরীর ৩৩টি স্পটে চাল বিক্রি হয়েছে। ১৫ জন ডিলারের জন্য বরাদ্দ রাখা ৩০ টন চাল ৩৩ স্পটে বন্টন করে দেয়া হয়। প্রথম দিনে ৩৩ স্পটে ১০ টনের অধিক চাল বিক্রি করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে রোটেশন ভাগ করে ১০ জন ডিলার ৩০ টন চাল বিক্রি করবে। ১০ টাকা দরে প্রতিজন ৫ কেজি করে চাল সংগ্রহ করতে পারছে।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নাঈম মো. শফিউল পূর্বদেশকে বলেন, আগে ১৫টি স্পটে ওএমএস চাল বিক্রি হলেও প্রথম দিন ৩৩ স্পটে চাল বিক্রি হয়েছে। তবে পরবর্তীতে এ সংখ্যা কমিয়ে ১০টি স্পট করা হবে। চসিক কাউন্সিলরদের সাথে আলোচনা করে এ ১০ স্পট নির্ধারণ করা হবে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রোটেশন ভাগ করে ১০ স্পটে চাল বিক্রি হবে। আমরা জানি এখন মানুষের অনেক ভিড় হবে। এজন্য আমরা কর্মকৌশল ঠিক করছি। কিভাবে দূরত্বে দাঁড় করিয়ে মানুষকে চাল বিক্রি করা যায় সে ব্যবস্থা করছি।
এদিকে নগরীতে ওএমএস চাল বিক্রিতে গরীব মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। নগরীতে প্রতি জন ১০ টাকা দামে প্রতিকেজি চাল সংগ্রহ করে আপাতত আহার মিটাতে সক্ষম হলেও বেকায়দায় পড়েছেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের কর্মহীন মানুষ এখনও ত্রাণের উপর নির্ভরশীল। কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো ছুটছে স্বচ্ছল মানুষের দুয়ারে। কেউ কেউ চেয়ে আছে প্রশাসনের দেয়া ত্রাণের আশায়।