নগরীতে হত্যা মামলার আসামি নিহত

12

চট্টগ্রামের খুলশীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, নিহত আব্দুল আজিজ ওরফে আইজ্জার বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও একটি ডাকাতির মামলা আছে।
খুলশী থানার নাসিরাবাদ প্রোপার্টিস লিমিটেড নামের আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর সড়কের পশ্চিমে টিলার ওপর গত রবিবার গভীর রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের ভাষ্য।
এক বাসায় ডাকাতির ঘটনার সূত্র ধরে আজিজকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সে ও তার সহকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বলে জানান খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আজিজ ও তার সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও পাথর ছোড়ে। এসময় পুলিশ প্রতিহত করলে এক পর্যায়ে তারা পিছু হটে। পরে সেখানে আজিজকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়’। আজিজকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি প্রণব। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। খবর বিডিনিউজের
গত ১৫ নভেম্বর গরিবুল্লাহ হাউজিং সোসাইটিতে আরিফুল হক নামের একজনের বাসায় জুম্মার নামাজের সময় কয়েকজন ব্যক্তি প্রবেশ করে নারীদের আটকে রেখে স্বর্ণালংকার, দু’টি মোবাইল ও টাকা নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় খুলশী থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলার তদন্তে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শাহজালালকে আটক করা হয়। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুট করা স্বর্ণালংকার উদ্ধারে নগরীর পুরাতন গির্জা এলাকার নবরতœ জুয়েলার্সের মালিক দুর্জয় বণিককে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদ রফিককে (৫২) চন্দনাইশ থেকে আটক করে পুলিশ।
ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘রফিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজিজকে ধরতে রবিবার রাতে ডেবার পাড় এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। আজিজের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও একটি ডাকাতি মামলা বিচারাধীন আছে। এছাড়া জননিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় ১২ বছর সাজা খাটার পর সে তিন মাস আগে জামিনে মুক্তি পায়’।
ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড অব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে ও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রফিক এবং শাহজালালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ছিনতাই মামলা আছে।