নগরজুড়ে যানজট জনদুর্ভোগ চরমে

38

নগরজুড়ে প্রতিদিন যানজটে অতীষ্ট হয়ে উঠেছে নগরবাসী। বিশেষ করে সকাল এবং বিকালে এ অবস্থা চরম আকার ধারণ করে। তার উপর গণপরিবহনের সংখ্যা কম হওয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় লোকজনকে।
গতকাল সোমবার ছিল সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন। সকালে অফিস শুরুর আগে থেকেই যানজট লেগে যায়। রাস্তার পাশে থাকা স্কুল এবং ওয়াসার খোঁড়াখুড়িতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগের টিআই, সার্জেন্ট ও পুলিশ সদস্যদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর জামালখান, আসকারদিঘির পাড়, গণি বেকারি, চেরাগি পাহাড়, মোমিন রোড এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। এই এলাকায় রয়েছে ১০-১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সব প্রতিষ্ঠান শুরু ও ছুটি প্রায় একই সময়।
আন্দরকিল্লা জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মোহাম্মদ নুরুল আবছার জানান, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি একই সময় হওয়ায় যানজট লেগে যায়। শিক্ষার্থীদের শত শত গাড়ি এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তারপরও যানজট নিরসনে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। এ যানজট বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
বহদ্দারহাট থেকে মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, জিইসি মোড়, ওয়াসা, দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত এলাকায় যানজট লেগেই ছিল। এ সড়কে যানবাহন চলাচল করেছে ধীরগতিতে। ২০ মিনিটের পথ যেতে এক থেকে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। ইপিজেড মোড়ে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ইপিজেড এর পোশাক কারখানার ছুটির পর দীর্ঘক্ষণ যানজট লেগেই ছিল। ইপিজেড মোড় অতিক্রম করতেই ঘণ্টা পার হয়েছে।
বন্দর জোনের টিআই প্রশাসন এস এম শওকত হোসেন বলেন, যানজট সবসময় ছিল না। মাঝে মধ্যে লাগলেও কম সময়ে তা নিরসন করা হয়েছে। যানজট যাতে না লাগে সেজন্য ট্রাফিক বিভাগ সতর্ক রয়েছে।
নগরীর কদমতলী, কোতোয়ালী মোড়, নিউ মার্কেট মোড় এলাকায়ও থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। মাঝিরঘাট রোড, জাকির হোসেন রোডেও ছিল যানজট। কোন কোন সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদের। অনেকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও গণপরিবহন না পেয়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
বিকালে মোড়ে মোড়ে অসংখ্য লোকজনকে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। কোন একটা বাস আসলেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন লোকজন। এতে নারী ও শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।