নওফেলের বিরুদ্ধে ‘প্রভাব বিস্তারের’ অভিযোগ সুফিয়ানের

20

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কার্যালয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান। তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে শিক্ষা উপমন্ত্রী সরাসরি অবস্থান নেওয়ায় তার মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষক-কর্মচারীরা নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। গতকাল রোববার আবু সুফিয়ান এ অভিযোগ করেন। তাছাড়া রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণার গাড়িতে হামলা ও পোস্টার ছিড়ে ফেলার আরেকটি অভিযোগে করেন এই বিএনপি প্রার্থী।
রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে দেওয়া অভিযোগে আবু সুফিয়ান দাবি করেন, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এবং একজন সংসদ সদস্য। তার অধীনস্থ মন্ত্রণালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নির্বাচনে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষা উপমন্ত্রী একজন প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেওয়ায় আমাদের মনে শঙ্কা, ভয় ও সন্দেহ জেগেছে যে, দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। শিক্ষা উপমন্ত্রীর এ ধরনের কর্মকাÐ নির্বাচনের জন্য অশনিসংকেত এবং প্রভাব বিস্তারের নোংরা কৌশল। দায়িত্বশীল পদে থেকে এভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করা দুঃখজনক।
অপরদিকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের কাছে দেওয়া অভিযোগে আবু সুফিয়ান উল্লেখ করেন, প্রচারণা শেষে ফেরার পথে তার কর্মীদের বহনকারী একটি নোহা মাইক্রোবাস নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা ভাঙচুর করেছেন। এসময় গাড়িতে থাকা তার কয়েকজন কর্মী আহত হন। এছাড়া নির্বাচনী আসনের বিভিন্ন এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে তার পোস্টার-ব্যানার ছিড়ে ফেলছে এবং তার কর্মীদের হুমকিধমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
অভিযোগের বিষয়ে আবু সুফিয়ান বলেন, সরকারি দলের দায়িত্বশীল নেতাদের আচরণে আদৌ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি-না, সেটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আমার এলাকার মানুষও ভীতসন্ত্রস্ত। মেয়র ও একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। আমি এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রতিকার চেয়েছি। তাদের পথ ধরে একজন উপমন্ত্রীও একই কাজ করলেন। সেটাও আমি লিখিতভাবে রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়েছি। আমি চাই নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক।
এর আগেও বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ২৫ ডিসেম্বর সিটি মেয়র এবং ২৬ ডিসেম্বর সাংসদ নদভীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।