ধান্দাবাজদের শুধু বহিষ্কার নয়, শাস্তি দিতে হবে : নাসিম

34

‘সুবিধাভোগী ও ধান্দাবাজ’ নেতা-কর্মীদের দল থেকে শুধু বহিষ্কারই নয়, আইনের আওতায় এনে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।
সুবিধাবাদীদের ‘বিএনপি-জামায়াতের চেয়েও ভয়ংকর’ আখ্যায়িক করে তিনি বলেছেন, তাদের অপকর্মের কারণে আওয়ামী লীগের অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এদেরকে এখনই রুখতে না পারলে ভবিষ্যতে দলের ক্ষতি হবে; এদের আশ্রয়দাতাদেরও ছাড় না দেওয়া হবে না।
যুবলীগ নেতাদের ক্যাসিনোকান্ডের পর সম্প্রতি যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার কেলেঙ্কারি প্রকাশের প্রেক্ষাপটে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন নাসিম।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এত অর্জন, এতো গৌরব মাঝে-মধ্যেই ম্লান হয়ে যায় এই সমস্ত দুর্বৃত্তদের জন্য। আমি মনে করি, বিএনপি জামায়াতের চেয়ে ভয়ংকর হলো এরা। আওয়ামী লীগের অর্জন ধরে রাখতে সুবিধাভোগীদের এখনই প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে বলে রাখি, এদেরকে শুধু বহিষ্কার নয়, আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। কোনো খাতির নয়; এদের আশ্রয়দাতাকেও খাতির করা যাবে না। খবর বিডিনিউজের
ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের ছত্রছায়ায় ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে নাসিম বলেন, সবসময় ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে কিছু সুবিধাবাদী, ধান্দাবাজ যোগদান করে। এদের চেহারা পরিবর্তন হতে বেশিক্ষণ সময় লাগে না। এরা এমনভাবে কথা বলেন যেন আমার চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার। এদের চেয়ে আর বড় আওয়ামী লীগার কেউ হয় না। এই সমস্ত ধান্দাবাজদের কারণেই অনেক সময় মানুষের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর কুমকুমের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নাসিম।
আলমগীর কুমকুমকে ‘সাহসী ও বঙ্গবন্ধুপ্রেমী’ অভিহিত করেন তিনি বলেন, এখন তো বঙ্গবন্ধুপ্রেমীর অভাব নাই। জয়বাংলা বলার লোকের অভাব নাই। এখন কে বলে নাই, এটা খুঁজে বের করতে দুই দিন লাগবে।
ষাটের দশকের শেষভাগে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে আলমগীর কুমকুমের; তিনি স্মৃতিটুকু থাক, আমার জন্মভূমি, কাবিন, অমরসঙ্গীসহ বেশ কয়েকটি দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন।
চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এক সময়ের ছাত্রলীগ নেতা কুমকুম। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও তিনি।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ও সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ।