ধর্মের মর্মবাণী ধারণ করলে হানাহানি থাকতো না

29

বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার অনুসারীদের প্রথম পরিচয় তারা বাঙালি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা কেউ খ্রিস্টান, কেউ হিন্দু ও কেউ মুসলিম। এটি হলো আমাদের দ্বিতীয় পরিচয়। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর অনুসারী, আমরা যারা শেখ হাসিনার অনুসারী। আমরা মনে করি, আমাদের প্রথম পরিচয় হলো বাঙালি। এরপর অন্য পরিচয়। আমরা যদি ধর্মের মূল মর্মবাণীকে বুকে ধারণ করে সেটিকে ঠিকভাবে অনুশীলন করতাম। তাহলে পৃথিবীতে হানাহানি থাকতো না।’
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে দেখা যায়, ধর্মকে ব্যবহার করে, ধর্মকে ভুল ব্যাখ্যা করে উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটি ধর্মের মূল মর্মবাণী নয়। দেশে একটি গোষ্ঠী আছে, দেশে একটি রাজনৈতিক দল আছে। যারা মুখ্য পরিচয় হিসেবে ধর্মীয় পরিচয়কে তুলে ধরতে চায়। সেখানেই হচ্ছে আমাদের সঙ্গে তাদের পার্থক্য।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভারত বিভাজন হয়েছিল। অর্থাৎ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তান পৃথক হয়েছিল। কিন্তু, আমরা বাঙালিরা মানসিকভাবে সেটি কখনও মেনে নিতে পারিনি। সেই কারণে আমরা যখন দেখলাম, পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে ধর্মীয় বিষয়কে মূখ্য করা হচ্ছে। আমাদের জাতিগত পরিচয় গৌণ হয়ে যাচ্ছে। যখন আমরা দেখলাম কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বাজানো নিষিদ্ধ হচ্ছে। কবিতা পড়া নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যখন আমাদের ভাষা পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তখন আমরা বাঙালিরা প্রতিবাদ করেছিলাম এবং অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অলক দাশ। সভায় বক্তব্য রাখেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ এর সভাপতি গৌরাঙ্গ দে, সাবেক সভাপতি দেবাশীষ পালিত, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তপন কান্তি দাশ ও চন্দন তালুকদার।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি আন্দরকিল্লা মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। খবর বাংলা ট্রিবিউন এর