ধর্মীয় অনুশাসন মনুষ্যত্ব জাগরণের পরম নির্দেশক

78

লোককলা চর্চা কেন্দ্র বাংলাদেশ এর আয়োজনে ‘ধর্মীয় অনুশাসন বিবেক বোধে মনুষ্যত্ব জাগরণের পরম নির্দেশক’ শীর্ষক সেমিনার ৩১ মে বিকাল ৩টায় সংগঠনের দোস্ত বিল্ডিংস্থ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চবি. গবেষক ভাস্কর ডি.কে. দাশ (মামুন)। চর্চা কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক জসীম উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সহকারী জজ মনজুর মাহমুদ খান। সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন- সন্দীপনার সহ-সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ।
সম্মানিত বিশেষ অতিথির মাঝে উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকার নুরুল আরশাদ চৌধুরী, রাজনীতিবিদ হাবিবুর রহমান হাবিব, অধ্যক্ষ শেখ এ রাজ্জাক রাজু, শিল্পী এম.এ হাসেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম রফিক, প্রধান শিক্ষক তরণী কুমার সেন, শিক্ষিকা তাহেরা খাতুন, রাজনীতিক আব্দুল গাফ্ফার খান, রাজনীতিক মোকতার আহমদ, কবিয়াল আব্দুল লতিফ, কবিয়াল সন্তোষ কুমার দে, কবিয়াল হরিপদ দেহারী, সংগঠক নিবেদিতা আচার্য্য, চৌধুরী জসীমুল হক, গীতিকার বাবুল বড়ুয়া, সংগঠক মোশাররফ হোসেন খান রুনু, নারীনেত্রী সাঈদা ফাতেমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক তপন কান্তি নাথ, সংগঠক প্রণব রাজ বড়ুয়া।
নাট্যকর্মী মেজবাহ চৌধুরী’র সঞ্চালনায় হামদ্-নাত পরিবেশন করেন- শিল্পী এম.এ হাসেম, জসীমুল হক চৌধুরী, শিল্পী বৃষ্টি দাশ, জ্যোতি শর্মা, শান্তা সেন, অর্পণ সরকার, সুষ্মিতা সেন, সাগর দেব নাথ, ধনঞ্জয় শর্মা, একরামুল হোসেন, আসিফ ইকবাল ও শান্তা পাল।
বক্তারা বলেন- ধর্মীয় অনুশাসন সমাজে নীতিবোধ ও মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টির মাধ্যমে মানব গোষ্ঠীর বৃহত্তর কল্যাণ সাধন করে। অশান্ত বিশ্বে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগাতে ধর্মের বাণী বহুকাল ধরে মানুষের জীবনাচার ও বুদ্ধিবৃত্তিকে সঠিক পথে দিশা দিয়ে যাচ্ছে। পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা তাবত বিশ্বের ভ্রান্ত পথে জীবনকে নষ্ট ও ভ্রষ্টকারীদের জন্য অমীয় পথের সন্ধান দিয়ে থাকে। নৈষ্টিক চেতনা, হিংসা-হানাহানি, পরশ্রীকাতরতা বা গীবত, জুলুম, ব্যাভিচার, নারীর প্রতি সহনশীলতা সহ যাবতীয় সকল অনাচারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুশাসনই সত্যিকারের সুশীল ও সহনশীল সমাজ বিনির্মান করতে পারে।
গোত্রে গোত্রে কিংবা জাতিতে জাতিতে যে হিংসা-দ্বেষ আজ সমগ্র বিশ্বকে উত্তপ্ত করে তুলছে তা মূলত ধর্মীয় অনুশাসনের উল্টো দিকে ভোগবাদী চেতনার উন্মেষ। ফলে শ্রেণী বৈষম্য আজ সমাজের জন্য অসহনীয়, অপ্রতিরোধ্য ক্যান্সারের মত। উত্তপ্ত বিশ্বে তাই আজ সত্যিকারের আস্তিকতাপূর্ণ সমাজ নির্মাণে আগামীর পৃথিবীতে টেকসই বুনিয়াদ রচনা করতে হবে। নচেৎ হিংসা হানাহানি, ব্যাভিচার ইত্যাদির লেলিহান শিখায় মানবতা ভুলুন্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানের শেষে বিশ্ব শান্তি কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন- মাওলানা মোহাম্মদ আলী। বিজ্ঞপ্তি