দোহাজারীতে থমকে আছে সড়কবাতি লাগানোর কাজ

39

চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের আভ্যন্তরীন সড়কগুলোতে সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবির্ধাতে সকড়ে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা করার লক্ষে সড়ক বাতি লাগানোর কাজ শুরু হয়ে আর শেষ হয়নি। ক্ষতবিক্ষত সড়ক পথে চলতে গিয়ে হোঁচট খাওয়া, কাঁদায় পড়াসহ নানা বিপত্তি হারহামেশাই ঘটছে। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া রাতে কেউ ঘর থেকে বের হয়না। নিতান্তই বের হতে হলে মোবাইল কিংবা টর্চলাইটের আলোতেই ভরসা করতে হয় গ্রামবাসীকে। সন্ধ্যা হলেই পৌরসভার প্রতিটি পল্লীতে এক প্রকার ভূতুরে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী যাতে রাতের বেলায় নির্বিঘ্নে চলাচচল করতে পারে, চুরি-ডাকাতি ও অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ হয় সে লক্ষে স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা হিসেবে দোহাজারী পৌরসভার তৎকালীন প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম বদরুদ্দোজা পুরো দোহাজারী পৌর এলাকাকে আলোকায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পৌরসভার রাজস্ব তহবিলের অর্থায়নে ৬৬ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬ শত টাকা ব্যয়ে দোহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে ১২টি মিটার বোর্ডের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক লাইন টানানো ও সড়ক বাতি লাগানোর জন্য ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর দরপত্র আহবান করেন। গত বছর ১৫ ডিসেম্বর কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করে পর্যায়ক্রমে দিয়াকুল, জামিজুরী, ঈদপুকুরিয়া, চাগাচর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে খুঁটি স্থাপন করেবৈদ্যুতিক তার টানানোর পাশাপাশি সড়কবাতির শেডসহ প্রয়োজনীয় স্থাপন করেন।
সংশ্লিষ্ট টিকাদার কাজের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়েছে দাবি করে চলতি বিল না পাওয়ার অজুহাতে কাজ বন্ধ করে দেয়। দোহাজারী পৌরসভার বাসিন্দা নবাব আলী বলেছেন সড়ক বাতি লাগানোর কাজ শুরু হওয়ায় তারা খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কাজ শেষ না হওয়ায় আশাহত হয়েছেন। সড়ক বাতি না থাকায় দোহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক অন্ধকারে বেড়ে চলে নানা অসামাজিক কাজ। প্রত্যন্ত গ্রামীণ সড়কে কোনও আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতের পরিবেশ থাকে নিস্তব্দ। সন্ধ্যার পর অন্ধকার সড়কে চলাচল করতে গিয়ে ভয় পায় বিভিন্ন বয়সের মানুষ। বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলে এলাকায় চুরি-ডাকাতি, জুয়াসহ নানা অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। রাতের আঁধারে মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। দোহাজারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম মৃধা জানান, পৌর এলাকায় সড়ক বাতির চলমান কাজের চলতি বিল চেয়ে ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রস্ততকৃত বিলে স্বাক্ষর করে অনুমোদনের জন্য প্রশাসক বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কি ধরনের কাজ হয়েছে, কয়টা বাতি লেগেছে, কয়টা পোল লেগেছে এ তথ্যগুলো প্রকৌশল বিভাগের যে ফাইল রয়েছে সে ফাইলে স্বয়ংসম্পূর্ণ নেই। এগুলো যাচাই-বাছাই করে পুর্ণাঙ্গ করে ফাইল আমাকে দেয়া হয় নাই। যেভাবে কাজ করার কথা এটা অস্পষ্ট আছে। ফাইলে এসমস্ত কোন তথ্য-উপাত্ত না থাকায় বিল যাচাই বাছাই করে কাজের মূল্যয়নের ভিত্তিতে বিল অনুমোদন হবে বলে তিনি জানান।