দোকান-শপিং ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ

30

নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে লোকজন ঘরবন্দি হয়ে পড়ায় সারাদেশের বিপণি বিতানগুলো বন্ধ রাখার সময় ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
“করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার যেভাবে মানুষকে ঘরে থাকতে বলছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং ঘরে থাকার কর্মসূচির অংশ হিসেবে দোকানপাট, বিপণি বিতানগুলো বন্ধ থাকছে।
“আগে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার কর্মসূচি অনুযায়ী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলেছিলাম। এখন যেহেতু ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঘরে অবস্থানের কথা বলা হচ্ছে- তাহলে দোকানপাটও ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।”
“অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে লকডাউন বা এ ধরনের পরিস্থিতি প্রলম্বিত হলে তার সঙ্গে সমন্বয় করে দোকান মালিক সমিতি চলবে,” বলেন এই ব্যবসায়ী নেতা। খবর বিডিনিউজের
নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ধরা পড়ার পর থেকে ধীরে ধীরে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। গত ১৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম এক ব্যক্তি এই রোগে মারা যাওয়ার পর বিপণি বিতানগুলো ফাঁকা হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সরকার লকডাউন ঘোষণা না করলেও তার আগেই দোকানপাট বন্ধের ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহীন আহমেদ জানান, এই এলাকার ব্যবসায়ীরা ১ এপ্রিল পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগে নিয়েছিলেন। এখন যেহেতু ঘরে থাকার কর্মসূচি ৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে তাই নিউ মার্কেট অঞ্চলের দোকানগুলোর ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
“দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিস্থিতি খারাপ। এর মাঝেও যে পরিস্থিতি এসেছে তা তো মেনে নিতে হবে। আমরা ব্যবসায়ীদের বলেছি যার যার সামর্থ অনুযায়ী কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুরদের সহায়তা করতে। আর দোকান কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন আগাম দিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। অনেকে আগাম দিয়ে দিয়েছেন,” বলেন সিরাজ জুয়েলার্সের এই কর্ণধার।