দেড় বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ জীবন ড্রাগ হাউসে!

47

প্রায় দেড় বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ওষুধও বিক্রির জন্য নিজের ফার্মেসিতে রেখেছিলেন খুলশীর ঝাউতলা এলাকার জীবন ফার্মেসির মালিক। এ ওষুধ ক্রেতার হাতে গেলে বা সেবন করলে জীবন-রক্ষার বদলে ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা ছিল। কেবল জীবন ফার্মেসিই নয়। ওই এলাকার অন্তত পাঁচটি ফার্মেসিতেই মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনিবন্ধিত ওষুধ, লাইসেন্স না থাকাসহ নানা অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এজন্য ফার্মেসি মালিকদের প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওষুধ তত্ত¡াবধায়ক কামাল হাসানসহ ওষুধ প্রশাসন ও পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন। পাঁচ ফার্মেসির মধ্যে খুলশী এক নম্বর গেটের ফার্মেসি কেয়ারকে ১০ হাজার, ঝাউতলার জীবন ড্রাগ হাউসকে ১০ হাজার, মঞ্জু মেডিকেল হলকে ১০ হাজার, নাসির ফার্মেসিকে পাঁচ হাজার ও জান্নাত মেডিকেল হলকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেয়া ওষুধ তত্ত¡াবধায়ক কামাল হাসান জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রথমে খুলশী এক নম্বর গেটের ফার্মেসি কেয়ার নামের ওষুধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে যান। ওষুধ প্রশাসনের লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা এবং অনুমোদনহীন বিদেশি ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। সেখান থেকে অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, লাইসেন্স নেয়ার পর ব্যবসা পরিচালনা করতেও প্রতিষ্ঠান মালিককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এরপর ঝাউতলা বাজারে জান্নাত মেডিকেল হল, নাসির ফার্মেসি, মঞ্জু মেডিকেল হল ও জীবন ড্রাগ হাউসে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। চারটি ফার্মেসিতেই ওষুধ প্রশাসনের লাইসেন্সের শর্ত অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনা, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনিবন্ধিত বিদেশি ওষুধ সংরক্ষণ এবং ওষুধ বিক্রির পর ক্রেতাকে ক্যাশ মেমো না দেয়ার মত অনিয়মগুলো ধরা পড়ে। এছাড়া, কিছু ওষুধের মোড়কের ওপর সঠিক তাপমাত্রায় ফ্রিজে সংরক্ষণ করার নির্দেশনা থাকলেও ফার্মেসিগুলো সেগুলো শো-কেসেই সংরক্ষণ করছিল। এসব অপরাধ আমলে নিয়ে চার প্রতিষ্ঠান মালিকের কাছ থেকে মোট ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া, সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করার পাশাপাশি জব্দকৃত অনিবন্ধিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে।