দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার সাড়ে ছয় মাসের মাথায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছে গেছে সাড়ে তিন লাখের কাছাকাছি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৫৪৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৬ জনে। গত এক দিনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৯৩৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ১৭৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৫ জন হয়েছে।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে; মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ৯ লাখ ৫৭ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৮তম অবস্থানে। খবর বিডিনিউজের
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯৭টি ল্যাবে ১১ হাজার ৫৯১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ২১ হাজার ২৭০ টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন, নারী ৯ জন। তাদের ২৪ জন হাসপাতালে ও ২ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৩ জন রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৯৩৯ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৮৪৬ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৪৯৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৩৪৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৩৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৮৮ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১১৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ২ হাজার ৪২৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৩০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪১৬ জন খুলনা বিভাগের, ১৮৪ জন বরিশাল বিভাগের, ২২১ জন সিলেট বিভাগের, ২৩২ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০৭ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
