দেশে শনাক্ত পৌনে ২ লাখ ছাড়াল

20

একদিনে আরও ৩ হাজার ৩৬০ জনের মধ্যে নতুন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৪ জনে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাতে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ২৩৮ জন।
আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩ হাজার ৭০৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। ফলে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৮৪ হাজার ৫৪৪ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বৃহস্পতিবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দেড় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২ জুলাই। সেদিন ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ। আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ জুলাই তা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৮ জনের এবং বাড়িতে থাকা অবস্থায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ৬ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং ৩ জন রংপুর বিভাগের। এই ৪১ জনের মধ্যে একজনের বয়স ১০ বছরের নিচে এবং দুইজনের বয়স ৮০ বছরের বেশি ছিল। এছাড়া ৯ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
বুলেটিনে জানানো হয়, দেশের ৭৬টি ল্যাবে গত এক দিনে ১৫ হাজার ৬৩২টি নমুনা পরীক্ষা হয়; এ পর্যন্ত দেশে পরীক্ষা হয়েছে ৯ লাখ ৪ হাজার ৭৮৪টি নমুনা।
পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৮ দশমিক ১৪ শতাংশ, মৃত্যু হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।