দেশে আরও ৩ মৃত্যু নতুন শনাক্ত ৫৪

100

দেশে একদিনেই ৫৪ জনের মধ্যে নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে ২১৮ জন হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ জন।
ঠিক এক মাস আগে দেশে প্রথমবারের মত কারো দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এক দিনে আক্রান্তের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে মোট ৩৩ জন এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনাও উপস্থিত ছিলেন ব্রিফিংয়ে। আগে এই অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ থাকলেও এখন তা বন্ধ করে দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একে বলা হচ্ছে ‘স্বাস্থ্য বুলেটিন’। খবর বিডিনিউজের
ডা. ফ্লোরা আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও মৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ তুলে ধরলেও গত মঙ্গলবার ও বুধবার তিনি তা করেননি।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৫৬৩টি এবং ঢাকার বাইরে ৪২৫টি নমুনার পরীক্ষা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ হাজার ১৬৪টি।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী, ২১ থেকে ৩০ বছরের ১৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭ জন। এছাড়া আরও ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের বয়স ষাটের ওপরে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ২১ নারী। নতুন রোগীদের মধ্যে ৩৯ জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।
দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা ৭ হাজার ৬৯৩ :
ঢাকা মহানগর ও ঢাকার বাইরে অংশ, চট্টগাম, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর ও খুলনাতে কোভিড-১৯ এর জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতালগুলোতে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে সাত হাজার ৬৯৩টি। এরমধ্য ঢাকা মহানগরীতে এক হাজার ৫৫০টি, ঢাকা শহরের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছে ছয় হাজার ১৪৩টি। এই তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচলাক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা।
গতকাল বুধবার কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, আইসোলেশন শয্যা সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়াচ্ছি, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে। সরকারি স্থাপনাগুলোকেও আইসোলেশনের শয্যা হিসেবে ব্যবহারের প্রক্রিয়া চলছে। এসব হাসপাতালে মোট নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) শয্যা রয়েছে ১১২টি। একই সঙ্গে ডায়ালাইসিস শয্যা রয়েছে ৪০টি। তবে এসব বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ একটি নতুন ভাইরাস, এখনও অনেক কিছু জানার বাকি রয়েছে কিন্তু যে স্বাস্থ্যবিধি দেওয়া হচ্ছে সেগুলো মেনে চলতে হবে সবার স্বার্থে। একজন থেকে আরেকজনের শারীরিক দূরত্ব হবে কমপক্ষে তিন ফুট। এই সময় গরম পানি খাওয়া ভালো।
এই সময় জানানো হয়, জরুরি অবস্থা না হলে হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আর এটা কেবল বাংলাদেশের জন্যই নয়, উন্নত বিশ্বেও এভাবেই কাজ করা হচ্ছে।