দেশে আরও ৩ জনের মৃত্য একদিনেই নতুন শনাক্ত ৩৫

77

করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন জন মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১২ জন। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ জন। ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর এটাই প্রথম সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত করা হলো। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৩ জন। এর মধ্যে ঢাকা জেলার ৬৪ জন।
তবে এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক জরুরি সভায় জানান, করোনায় আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৯ জন।
গতকাল সোমবার (৬ এপ্রিল) কোভিড-১৯ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা একথা জানান। তিনি বলেন, নতুন শনাক্তের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী।
তিনি বলেন, নুতন শনাক্তের মধ্যে ৪১-৫০ বছরের কোঠায় ১১ জন এবং ২১-৩০ বছরের কোঠায় আছেন ৬ জন। সারাদেশে শনাক্ত ১২৩ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা শহরে ৬৪ জন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ২৩ জন এবং এরপরে মাদারীপুরে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ১২ জন শনাক্ত হয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
ডা. সেব্রিনা বলেন, এক সপ্তাহ আগেই দুদক পরিচালকের করোনা শনাক্ত করা হয়। এরপর তার সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়। বাকি দু’জনকে হাসপাতালে আনার পর মারা যান।
শনাক্ত ১২৩ জনের ৬৪ জনই ঢাকার, ছড়িয়েছে ১৫ জেলায় : স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, সারাদেশে ১২৩ জন ব্যক্তি শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ জনই ঢাকা মহানগরীর। এর পরের অবস্থানে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। সেখানে শনাক্তের সংখ্যা ২৩ জন। আর সারাদেশে ১৫ জেলার করোনা রোগী পাওয়া গেছ।
গতকাল সোমবার (৬ এপ্রিল) কোভিড-১৯ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন জাতীয় রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
ডা. আবুল কালাম বলেন, এখন পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ হইছে ৪০১১। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬৮ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ জনে শনাক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ১২৩ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে আইইডিসিআর’র কাছে তথ্য আছে ১২১ জনে। এর মধ্যে ঢাকায় ৬৪, নারায়ণগঞ্জে ২৩, মাদারীপুরে ১১, চট্টগ্রামে ২, কুমিল্লায় ১, গাইবান্ধায় ৫, চুয়াডাঙ্গায় ১, গাজীপুরে ১, জামালপুর ৩, শরীয়তপুরে ১, কক্সবাজারে ১, নরসিংদীতে ১, মৌলভীবাজারে ১, সিলেটে ১, রংপুরে ১ এবং ঢাকার মহানগরীর বাইরে চার উপজেলায় ৪ জন করোনায় আক্রান্ত। সবমিলিয়ে এখন বাংলাদেশে ১৫টি জেলায় করোন শনাক্ত করা হয়েছে। তবে যে জায়গায় একাধিক রোগী আছে সেটাকে ক্লাস্টার বলা হয়। ঢাকা মহানগরী, গাইবান্ধা, নারায়ণগঞ্জ ও মাদারীপুর এই এলাকাকে ক্লাস্টার বলা হচ্ছে।