দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বইমেলা যেভাবে শুরু হল চট্টগ্রামের জিমনেশিয়াম চত্ত্বরে

45

দেশে প্রকাশনা শিল্পের বিকাশ, পাঠোপকরণে সমৃদ্ধ করা, গ্রন্থের প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করাই হচ্ছে বইমেলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ১০ ফেব্রæয়ারি থেকে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন-এর পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রামের এম.এ.আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম চত্ত¡রে দ্বিতীয় বারের মতো বৃহৎ পরিসরে এই বইমেলা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ ও চট্টগ্রামের সাহিত্যপ্রেমীদের সার্বিক সহযোগীতায় আয়োজিত এই মেলা মাত্র দুই বছরের মধ্যেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বইমেলায় রূপ নিয়েছে।
গ্রন্থের বিকল্প কেবলই গ্রন্থ। গ্রন্থ এমন এক মাধ্যম যা আমাদের মনকে করে বিকশিত, জ্ঞানকে করে সমৃদ্ধ, আর হৃদয়ের পরিতৃপ্তিকে দান করে পরিপূর্ণতা। সভ্যতার ক্রমবিকাশে মানুষের মৌলিক চিন্তনের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম গ্রন্থ, যা আলোকিত মানুষ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। গ্রন্থকে পাঠকের নিকট সহজলভ্য করে তোলার বিষয়ে সুধী মনে প্রশ্নোদয় স্বাভাবিক। সে সূত্রে কয়েকটি কথার অবতারণা করতে চাই। এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে দেশ স্বাধীনের পর থেকে হাঁটি হাঁটি পা-পা করে বাংলা একাডেমি চত্ত¡রে একটি গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আজ সেটি জাতীয় পর্যায়ে ‘বাংলা একাডেমির অমর একুশের গ্রন্থমেলা’ হিসেবে রূপ লাভ করেছে। কিন্তু এই মেলা কী সমগ্র বাংলাদেশের জন্য সুখবর বয়ে আনতে পেরেছে? তা কখনো সম্ভব নয়। তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠকের হাতে গ্রন্থ-প্রাপ্তি সহজলভ্য করে তোলার বিষয়ে সুধী মনে প্রশ্ন উত্থাপন সমীচীন। আমরা মনে করি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বিশাল পরিধি নিয়ে আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। তাই সমগ্র বাংলাদেশ নিয়েই আমাদের ভাবা উচিত। অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে খ্যাতিমান লেখকদের প্রায়ই জন্ম গ্রহণ করেছে দেশের কোন না কোন মফস্বল শহর কিংবা গ্রামে-গঞ্জে। এক্ষেত্রে তাঁদের লেখা গ্রন্থ প্রকাশ ও বিপনণে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বইমেলার আয়োজন করে এলাকাকে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে সহযোগিতা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ কথা বলাই যায়, গ্রন্থের কদর যত বাড়বে জ্ঞানের দিগন্ত ততই উন্মোচিত ও প্রসারিত হবে। আর বইমলা জ্ঞানচর্চা ও দিগন্ত উন্মোচনে প্রধান সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই লক্ষ্য নিয়েই জন্মলগ্ন থেকে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের পথ চলা।
ভাষা ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতেও গ্রন্থের বিকল্প নেই। গ্রন্থ আমাদের চেতনাবোধকে সুতীক্ষè করে, মানবিক মূল্যবোধকে জাগিয়ে তোলে। আর এটি সম্ভব হয় গ্রন্থের দিক নির্দেশনায়। পাঠ্যাভ্যাসের মাধ্যমেই একজন মানুষ তার মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে; যা জীবনবোধের বিকাশ ঘটায়।
রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে যেমন বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম তেমনি নিজস্ব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা ও এর অগ্রসরমান গতিকে অবিকল্প ধারায় প্রবাহমান রাখার ক্ষেত্রেও বইয়ের বিকল্প আর কিছু নেই। আমরা জানি, একটি দেশের সাহিত্য ভাণ্ডার যত উন্নত সে দেশও তত উন্নত। মানুষের মেধা ও মননকে জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে বইয়ের গুরুত্ব যেমনি অপরিসীম তেমনি নান্দনিক ভাবনার সঙ্গে গ্রন্থ ভাবনার যোগসূত্র অনিঃশেষ। একজন লেখক যেমন মনের আনন্দে একখানা বই রচনা করে তৃপ্ত হন, তেমনি রচিত বইয়ে তাঁর নান্দনিক বোধের প্রকাশ ঘটান। তাই বইকে জনপ্রিয় করে তুলতে এবং বন্ধু হিসেবে ভাবতে হবে।
বইকে বন্ধু হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত করে তোলার লক্ষে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের আয়োজনে ২০০৮ সাল থেকে আমরা চট্টগ্রাম শহরে বইমেলা শুরু করেছিলাম। কিন্তু তার কয়েক বছর পরে একই সময়ে বই-এর দোকান নিয়ে ‘বইমেলা’ নাম দিয়ে কয়েকটি ভুইফোঁড় সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে বইমেলা শুরু করে। তাদেরকে অনুনয়-বিনয় করেও রোধ করা যায় নি। ফলে চট্টগ্রামবাসীকে একটি ভালো বইমেলা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে । এই বইমেলাকে বৃহত্তর পরিসরে রূপ দেয়ার জন্য আমরা চট্টগ্রাম সৃজনশীল পরিষদের সদস্যরা ২০১৫ সালে সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন-এর স্মরণাপন্ন হয়েছিলাম। বিষয়টি অনুধাবন করে ২০১৮ সালে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বিচ্ছিন্নভাবে একাধিক মেলার আয়োজন না করে পরবর্তী বছর থেকে চট্টগ্রাম বৃহৎ পরিষরে একটি মেলা আয়োজন করার আশ্বাস দিলেন। মেয়র মহোদয় ২০১৮ মাসের ডিসেম্বর মাসে সকলকে নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করলেন। ঐ বৈঠকে তিনি ঘোষণা দিলেন আগামী বছর থেকে অমর একুশের বইমেলা ১০ ফেব্রæয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মেলাটি হবে এম.এ.আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম চত্বরে। উক্ত সভায় চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সদস্য ছাড়াও কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিককর্মী ও বিভিন্ন পেশাজীবী নেতাদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন হল। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তিনি নিজেই। ঐ সভায় একটি কার্যকরি কমিটি এবং বিভিন্ন উপ কমিটি গঠিত হল। শুরু হয়ে গেল মেলার আয়োজন। তবে তিনি শর্ত জুড়ে দিলেন ঢাকার প্রকাশকদের মেলায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বললেন কম করে হলেও অন্তত ঢাকার ২৫জন প্রকাশকের উপস্থিতি থাকতে হবে। আমি দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় গেলাম। বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করলাম। কিন্তু বাংলা একাডেমির বইমেলা চলাকালে ঢাকার কোন প্রকাশক চট্টগ্রামের মেলায় আসবেন না। আমি নানা যুক্তি উপস্থাপন করে এক পর্যায়ে ঢাকা থেকে ৫০ জন প্রকাশক চট্টগ্রামের বইমেলায় আসতে রাজী করালাম। চট্টগ্রামে ফিরে সংবাদটি মেয়র মহোদয়কে জানালে তিনি অত্যন্ত খুশি হলেন। মেলার একদিন আগেই ঢাকা থেকে ট্রাকযোগে বই এসে গেল। অনেক প্রকাশক প্রতিনিধি পাঠালেও ১৩টি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব আমাকেই নিতে হল। এমনকি অনেক প্রকাশক স্টলের ব্যানারও পাঠায়নি, তাদের জন্য ব্যনারও তৈরী করে দেয়া হল। মাত্র ৫শত টাকার স্টল ফি নিজ উদ্যোগে কেউ দিয়েছেন কেউ দেন নি। ১৩টি স্টল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হল। ১০ ফেব্রæয়ারি ২০১৯ মেলা যথারীতি উদ্বোধন হল। প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। সভাপত্বি করলেন মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মহোদয় ঘোষণা করলেন আগামী বছর মেলার পরিধি দ্বিগুণ করতে হবে। মেয়র মহোদয়ও তাঁর বক্তব্যে মেলার পরিধি দ্বিগুণ করার জন্য প্রয়োজনে জিমনেশিয়ামের পাশের রাস্তাটি ব্যবহার করার ঘোষণা দিলেন।
প্রথম বছর ১১০টি প্রকাশক নিয়ে মেলা শুরু হল। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এই মেলায় শুরু থেকে উপচে পড়া জনস্রোত দেখে সবাই অভিভূত হলেন। ২০ দিনব্যাপী এই মেলায় গ্রন্থ বিষয়ক মুক্ত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন তা সকলকে আনন্দিত, উপভোগ্য ও উৎসব মুখর এক অনাবিল আনন্দের পরিবেশ সৃজিত হয়েছে। বিভিন্ন প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এই খবর প্রতিদিন প্রচার হচ্ছিল। ফলে এই খবর রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়ল। প্রায় ১৮ কোটি টাকার বই বিক্রি হল ২০ দিনের এই মেলায়। দেশজুড়ে এই সংবাদ প্রচারের ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বইমেলা হিসেবে রূপ পেল। মেলা আয়োজনে যাঁরা অক্লান্ত মেধা ও শ্রম দিয়েছেন তাঁরা হলেন কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ সর্দার, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম নিপু, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সিটি কর্পোরেশনের সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা আশেক রসুল টিপু, সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ ও সাইফুল আলম বাবু, মাসুদ বকুল, আইনজীবী রেবা বড়ুয়া, সাহাব উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা নঈম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ফাহিম উদ্দিন আহমদ,কামরুল হাসান বাদল, সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, আয়ুব সৈয়দ সহ অনেকে।
গত বছরের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় বারের মতো একই স্থানে মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়া হলো। এ উপলক্ষে মেয়র মহোদয়ের আহবানে গেল নভেম্বরে সিটি কর্পোরেশনের আব্দুসত্তার মিলানায়তনে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের নাগরিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি সভার আয়োজন করা হল। উক্ত সভায় বিগত বছরের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরা হল। তা সংশোধন করে পূর্বের চেয়ে দ্বিগুণ পরিসরে মেলার আয়োজনে সকল প্রস্তুতির কাজ শুরু হল। উক্ত সভায় মেয়র মহোদয় ঘোষণা দিলেন- এবারের মেলা যেহেতু জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত। নামকরণ করা হল “মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশের বইমেলা চট্টগ্রাম ২০২০” তাই মেলায় দেশ বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং উগ্র মৌলবাদী কোন বই কিংবা বই-এর প্রকাশককে মেলায় স্টল বরাদ্ধ দেয়া হবে না। মেলা পরিচালনার জন্য ১৬ পৃষ্ঠার একটি নীতিমালা ও নিয়মাবলী প্রনয়ণ করা হয়েছে। মেয়র মহোদয় এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকার আহবান জানান। সভা শেষে আমরা নিজ নিজ দপ্তরের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলাম। আমাকে বিগত বছরের মত মেলায় অংশগ্রহণের জন্য ঢাকার প্রকাশকদের দায়িত্ব নিতে হল। বেশ কয়দিন ঢাকায় অবস্থান করে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমদ ও প্রধান নির্বাহী মনিরুল ইসলাম এবং মেলা সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় করে সমিতির ঠিকানায় আবেদন পাঠানোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হল। এ ছাড়াও বলাকা প্রকাশনের ই মেইলে সরাসরি আবেদন ফরম প্রকাশ ও জমা দেয়ার অনুরোধ করা হল। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে আমার হাতে এসে পৌঁছল প্রায় আড়াই শত আবেদন ফরম। সব ফরম যাচই-বাছাই করে ঢাকার ১১৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্ধ দেয়া হল। সাথে রয়েছে চট্টগ্রামের আরো ৫০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। মেলায় রয়েছে একটি লিটলম্যাগ কর্ণার। মোট ২৩০টি স্টল নিয়ে আয়োজিত এই মেলার পরিধি হল ১ লক্ষ ২০ হাজার ৩শত বর্গফুট। ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে একটি চিত্র প্রদর্শনী স্টল রয়েছে। তাছাড়া ও রয়েছে মেলা পরিষদের কার্যালয়, হেল্থ বুথ, ফায়ার সার্ভিস, অভ্যর্থনা কক্ষ, মিডিয়া বুথ, বিটিবি বুথসহ সার্বক্ষণিক বিভিন্ন সেবা ব্যবস্থা।
ধূলাবালি মুক্ত পরিবেশে পাঠক-দর্শক মেলা উপভোগ করার জন্য সমগ্র মেলা প্রাঙ্গণ ইটের আচ্ছাদন দেয়া হয়েছে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য মাঠ সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে আলাদা দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ করা হয়েছে। উক্ত মঞ্চে রবীন্দ্র উৎসব, নজরুল উৎসব, বসন্ত উৎসব, কবিতা ও ছড়া উৎসব, তারুণ্যেও উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, বিতর্ক উৎসব, শিশু উৎসব, আন্তর্জাতিক লেখক সম্মেলন ও পাঠক সমাবেশ, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান, লোক ও মরমী সংগীত, নাটক মঞ্চায়ন, জাদু প্রদর্শন ও নানা ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
১০ ফেব্রæয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবারও প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের কৃতিসন্তান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। সভাপতিত্ব করেন মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন। নেতৃবৃন্দ এই মেলাকে বাংলা একাডেমির গ্রন্থমেলার মতোই একটি জাতীয় মেলায় রূপ দানের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
শুরু থেকেই প্রকাশবৃন্দ অংশগ্রহণের মাধ্যমে মেলায় ‘গ্রন্থ’ নামক জ্ঞানের পসরা সাজিয়েছেন। প্রতিদিন হাজার-হাজার বইপ্রেমী মানুষ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেলায় আসছেন, বই কিনছেন।
বইকে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার মানসে ও বইমেলা’র সফল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শিল্পী-সাহিত্যিক, ছাত্র-শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এবার আরো যাঁরা সম্পৃক্ত থেকে নানাভাবে সহায়তা করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার, আবদুল হালিম দোভাষ, মো. আলী টিটু, সাংবাদিক কাজী মহসীন, শুকলাল দাশ, আ.ফ.ম মোদাচ্ছের আলী, জয়নুদ্দীন, সায়েম উদ্দিন আহমদ, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।