দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই : বীর বাহাদুর

4

বান্দরবান প্রতিনিধি

পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী। উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকার একটি অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চায় এবং মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ অন্য ধর্মের সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। তাই উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আগামীতেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা দরকার।
গতকাল শনিবার সকালে বান্দরবান-রাঙামাটি প্রধান সড়ক থেকে বড়খোলা পর্যন্ত রাস্তা ও সেতু এবং বড়খোলা বৌদ্ধ বিহারের চেরাংঘর উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক-সেতু নির্মাণ এবং ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বড়খোলা বৌদ্ধ বিহারের চেরাংঘর নির্মাণ করা হয়।
পার্বত্য মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। করোনা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত ছিল। করোনার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিতেন করোনা পরিস্থিতির। করোনার ভেক্সিন আবিস্কারের প্রথম দিকেই বাংলাদেশ ভেক্সিন ক্রয় করে। মহান সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমত প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্ব ও সঠিক সিদ্ধান্তে দেশের সবাই ভেক্সিনের আওতায় এসেছে। এ কারণে করোনার ভয়াবহতা থেকে বাংলাদেশ নিরাপদ রয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই উল্লেখ করে বীর বাহাদুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রæ চৌধুরী, বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য হারুনর রশিদ, রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা। এ সময় বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা (ভান্তে-ভিক্ষু) উপস্থিত ছিলেন।