দেবদেবীকে জুমের ধান উৎসর্গ করে বান্দরবানে খেয়াংদের নবান্ন উৎসব

30

বান্দরবানে নেচে-গেয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে নবান্ন উৎসব পালন করেছেন পাহাড়ের খিয়াং স¤প্রদায়। পাহাড়ে জুম কাটার পর এই উৎসব পালন করে স¤প্রদায়টি। শনিবার সদর উপজেলার গুংরুর মধ্যমপাড়া এলাকায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত এ নবান্ন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল আজিজ, নিবাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত, জেলা পরিষদ সদস্য সিং ইয়ং ম্রো, সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক মং নু চিংসহ স্থানীয় খেয়াং সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকালে দেব-দেবীর উদ্দেশে জুমের নতুন ফসল উৎসর্গের মাধ্যমে শুরু হয় খেয়াংদের নবান্ন উৎসব। এরপর জুমচাষের সরঞ্জামাদি ও জুমের নতুন ফসল প্রদর্শন নতুন ধানের পিঠামেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জুমে উৎপাদিত বিভিন্ন ফল-ফসলাদি অতিথিদের উপহার দেন খেয়াং নেতারা।পরে পরিবেশিত হয় এতিহ্যবাহী খেয়াং নৃত্য। পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে লঘিষ্ঠ খেয়াং সম্প্রদায়। জেলায় প্রায় চার হাজার খেয়াং জনসংখ্যা রয়েছে। তাদের প্রধান পেশা জুমচাষ। জুমচাষের মাধ্যমে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল মাসে পাহাড়ে তারা জুমচাষ করে এবং ছয় মাস পরিচর্যার পর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে জুমের ফসল সংগ্রহ করে। জুমের নতুন ফসল ঘরে তোলার সময় খেয়াংরা নেচে-গেয়ে নবান্ন উৎসব পালন করে থাকে। এটি খেয়াং সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব। জুমের ফসল সংগ্রহের মাধ্যমে তারা সারা বছরের জীবিকা আহরণ করে থাকে।