পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে এক চিকিৎসক এইচআইভি দূষিত সিরিঞ্জ ব্যবহার করে চারশতাধিক মানুষের শরীরে এইডসের জীবাণু ছড়িয়েছেন; যাদের বেশিরভাগই শিশু। মাত্র কয়েক সপ্তাহের পরীক্ষায় এ সংখ্যা বেরিয়ে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানান পাকিস্তানের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলার ওয়াসাউ গ্রামের প্রতিটি পরিবার ভয়াবহ আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে। গত মাসের শেষ দিকে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ ওই গ্রামে এইচআইভি সনাক্তের কাছে একটি অস্থায়ী ক্লিনিক স্থাপন করেছে।
ক্লিনিকের সামনে জড়ো হওয়া উদ্বিগ্ন বাবা-মা তাদের সন্তানদের পরীক্ষাগারের এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের একজন মুখতার পারভেজ। মেয়ের পরীক্ষা করাতে তিনি ক্লিনিকে এসেছেন। গত কয়েকদিন ধরে মেয়ের জ্বর, যা মুখতারকে দুঃশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। সেখানে আসা অনেক বাবা-মা এরই মধ্যে সত্য জেনে গেছেন। নিসার আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ওষুধের খোঁজে ক্লিনিকে ঘোরাঘুরি করছেন। মাত্র তিনদিন আগে তিনি জানতে পেয়েছেন তার এক বছর বয়সের মেয়ে এইচআইভি আক্রান্ত। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, “যে চিকিৎসক এত শিশুর সর্বনাশ করেছে তার উপর গজব পড়বে।
“এ খবর শুনে আমার পুরো পরিবার ভেঙ্গে পড়েছে।” এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে লারকানা উপকণ্ঠে ১৮ শিশুর শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ালে টনক নড়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগ ওই এলাকায় বড় পরিসরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালে সংখ্যাটি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য বিভাগ পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করলে লারকান পুলিশ সেখাকার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মুজাফফর ঘাংরোকে গ্রেপ্তার করেন।