দুস্থদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব : দীপংকর তালুকদার এমপি

58

মাস্টার হারাধন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মতো অন্যান্য সামাজিক ও রাজনৈতিক দল অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর মনমানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসলে সমাজের দুস্থ অসহায় মানুষ উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য ও পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি আরা বলেন, গরীব অসহায় ও শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। তাই প্রত্যেকের উচিত সমাজিক দায়বদ্ধতামূলক কাজে আরও এগিয়ে আসা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটিতে মাস্টার হারাধন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাস্টার হারাধন স্মৃতি ফাউন্ডেশন চত্বরে কম্বল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ এ কে এম মকছুদ আহমেদ, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি অলি আহমেদ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম শামসুল আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী, বনরূপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আবু সাঈদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, রাঙামাটি মাষ্টার হারাধন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবনাথ। সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, আমাদের দেশের বিশাল জনশক্তি থাকলেও সম্পদ মীমিত, তাই দারিদ্রের হারও তুলনামুলক বেশী। তবুও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো মতো আগের যে মনমানসিকতা ছিল তার চাইতে অনেকাংশে আমাদের মনমানসিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমরা চাই মাস্টার হারাধন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মতো আরো সংগঠন গড়ে উঠুক যাতে করে সাধারন মানুষ বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হয়। আমরা চেষ্টা করছি এই ধরনের সংগঠনগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে। আর এই বিশাল দরীদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সকল সুবিধা নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। কাজেই সমাজের বিত্তবান সামর্থবান ও মানবতাবাদী মানুষকে নিজ নিজ সামর্থ মতো এগিয়ে আসতে হবে। পাশে দাঁড়াতে হবে অবহেলিত মানুষের। আমি এ মাস্টার হারাধন স্মৃতি ফাউন্ডেশন যাতে করে আরো বেশী হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে থেকে তাদের সুখ দু:খের ভাগিতার হতে পারে তার জন্য আগামী অর্থ বছরে মাষ্টার হারাধন স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে ১ লক্ষ টাকার অনুদান ঘোষনা করছি এবং আগামীতেও আমাদের সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আলোচনা সভা শেষে প্রায় দেড় শতাধিক দুস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দরা।