দুর্নীতি দূর করতেই ই-নামজারী সিস্টেম

61

ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) উম্মুল হাছনা বলেছেন, ভূমি সংক্রান্ত কাজগুলো অনেক জটিল। নামজারীসহ কাজগুলো কম খরচে, অতি সহজে ও দুর্নীতিমুক্তভাবে মানুষের দৌরগোড়ায় কিভাবে পৌঁছে দেয়া যায় সে লক্ষ্যে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ই-নামজারী ভূমি সংস্কার বোর্ডের অন্যতম কাজ। ভূমির নামজারী করতে গিয়ে অফিসে ভীতি, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হতে হয়- এমন ধারণা দূর করতেই ‘ই-নামজারী’ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ফলে কোনো মাধ্যম ছাড়াই ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরের লোকজন সহজে এ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে করে ভূমি অফিসের দুর্নাম ঘুঁচবে। তৃণমূল পর্যায়েও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো (ইউডিসি) ভূমির নামজারীসহ অন্যান্য কাজগুলো অতি স্বল্প সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে করছে।
গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত ই-নামজারী বিষয়ক বিভাগীয় সঞ্জীবনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এটুআই’র সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় দিনব্যাপি কর্মশালার আয়োজন করে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি-বাকলিয়া) সাবরিনা আফরিন মুস্তফার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. হাবিবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
সচিব আরো বলেন, ই-নামজারীর বিষয়টি একটি সিস্টেমে আসলে মানুষ সহজেই সুফল ভোগ করবে এবং আস্তে আস্তে ভোগান্তি কমবে। এজন্য এলাকাভিত্তিক গণশুণানী করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ তারমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া অন্যতম।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ভূমির নামজারীসহ অন্যান্য সেবা দিতে গিয়ে কোনো ধরণের দুর্নীতিতে জড়ানো যাবে না। ভূমিতে জন্ম, ভূমিতে মৃত্যু- এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কোনো ধরণের মাধ্যম ছাড়াই অতি সহজে ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। ই-নামজারীর আবেদন কিভাবে করতে হবে তা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মানুষকে জানিয়ে দিতে হবে। মানুষকে সচেতন করা গেলে ভূমি অফিসগুলো দালালমুক্ত হবে।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি