দুর্নীতিবাজ ক্যান্সার থাকলে ছেঁটে ফেলুন

32

দুর্নীতিবাজদের ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা করে হাইকোর্ট বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভেতর যদি কোনও দুর্নীতিবাজ থাকে, তাহলে এই ক্যান্সার ছেঁটে ফেলতে হবে। ২৬ মামলার ‘ভুল’ আসামি জাহালমের জেল খাটার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুদকের শুনানিকালে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
শুনানিকালে দুদক আইনজীবী আদালতকে জানান, জাহালমকে ভুল আসামি করার পেছনে দুদকের কোনও দায় আছে কিনা বা দুদকের কোনও কর্মকর্তার অবহেলা আছে কিনা, সে বিষয়টি নির্ধারণ করতে দুদক একটি কমিটি গঠন করেছে। তবে শুনানির একপর্যায়ে আদালত বলেন, দুদকের ভেতর যদি কোনও দুর্নীতিবাজ থেকে থাকে, তাহলে সেসব দুর্নীতিবাজ ক্যানসার ছেঁটে ফেলতে হবে। দুদকের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজরা জাতীয় শত্রæ। এদের ক্যানসারের মতো ছেঁটে ফেলতে হবে।
এরপর আদালত জাহালমের ঘটনায় দুদকের দায় আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গঠিত কমিটিকে আগামী ১১ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে, ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরের ডুমুরিয়া গ্রামের জাহালমের বিনা দোষে তিন বছর জেল খাটার ঘটনায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপনের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৩৩ মামলার মধ্যে ২৬ টিতে ‘ভুল’ আসামি হয়ে জেল খাটার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও মামলার বাদীসহ ৪ জনের ব্যাখ্যা শোনেন আদালত।
এরপর জাহালমকে ২৬ মামলায় জামিন দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি গত ৬ মার্চ জাহালমের বিরুদ্ধে দুদকের হওয়া সব মামলার প্রাথমিক তথ্যবিবরণী (এফআইআর), অভিযোগপত্র (সিএস)-সহ যাবতীয় নথি দাখিলের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।