দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রনে নিরাপদ স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে

35

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি), চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উদ্যোগে গত শনিবার ৬ এপ্রিল, সন্ধ্যায় আইইবি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে “সেফটি ম্যানেজমেন্ট এন্ড মডার্ন ডে’জ বিজিনেস” বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেযর আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইবি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: হাফিজুর রহমান। কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রের ভাইস-চেয়ারম্যান (একা. এন্ড এইচআরডি) প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, সেমিনার কমিটির আহব্বায়ক প্রকৌশলী এম. এ. রশীদ। সেমিনারে আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন দেশের চলমান সংঘটিত অগ্নিকান্ড ও দুর্ঘটনা মারাত্মক সমস্যা হিসেবে দুর্ঘটনা রোধের উপর সেমিনার আয়োজন একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ উল্লেখ করে বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ঈর্ষনীয়ভাবে দেশের অগ্রগতি হচ্ছে এবং সফলতা অর্জন করছে। বর্হিবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। শুধুমাত্র সচেতনতা, সতর্কতা ও নিয়মনীতি, আইন-কানুন না মানার প্রবনতার কারণে দেশে দিন-দিন দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে স্ব স্ব অবস্থান হতে দায়িত্বশীলতার সহিত দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহব্বান জানান। তিনি নিজের জন্য ফায়ার সার্ভিসের নাম্বারসহ দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধারকারী, সহায়তাকারী ও পুর্নবাসনকারী সকল প্রতিষ্ঠানের নাম্বার সংরক্ষণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। মূল প্রবন্ধকার প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, দেশের অবকাঠাামো উন্নয়নে বহুতল ভবন নির্মাণ, শিল্প-বাণিজ্যের প্রসার, রাস্তাঘাট নির্মাণ, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন সংযোগ, সিএনজি এর ব্যবহার রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যথাযথ নিয়মনীতি প্রণয়ন ও মেনে না চলা এবং কর্তৃপক্ষ ও মালিক পক্ষের উদাসিনতার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ মানুষ, দেশ, অর্থনৈতিক এবং শারীরিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অনেক পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে, প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাচ্ছে, ব্যক্তিমালিকানা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যদি যথাযথভাবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) অনুযায়ী ভবন এ স্থাপনা নির্মাণ করা এবং নিরাপত্তার পাশাপাশি, দুর্ঘটনা ঘটার পূর্বে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, দুর্ঘটনা ঘটার পরে দ্রæত উদ্ধার, চিকিৎসা সহায়তাসহ পুর্নবাসন ও তদন্ত সাপেক্ষে দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে যাতে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং পরিবেশ বান্ধব রাখার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় এ বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বিজ্ঞপ্তি