দুর্গম ১৬ উপজেলায় সরকারি কর্মচারীদের ‘বিশেষ ভাতা’

41

হাওর, দ্বীপ বা চর উপজেলা হিসেবে ঘোষিত দুর্গম অঞ্চলে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পাহাড়ি ভাতার আদলে বিশেষ ভাতা চালুর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের সচিবকে পাঠিয়েছে। নির্দেশনার অনুলিপি সব সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও (ইউএনও) পাঠানো হয়েছে।
দুর্গম বিবেচনায় কিশোরগঞ্জের ইটনা ও মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম, চট্টগ্রামের স›দ্বীপ, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, নোয়াখালীর হাতিয়া, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চর রাজিবপুর, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী এবং ভোলার মনপুরাকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাওর, দ্বীপ বা চর উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। খবর বিডিনিউজের
এছাড়া সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, শাল্লা ও দোয়ারাবাজার, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলাকে হাওর, দ্বীপ বা চর উপজেলার হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।
২০১৫ সালের বেতন কাঠামো অনুযায়ী এসব উপজেলায় কর্মরত সরকারি চাকুরেদের জন্য পাহাড়ি ভাতার অনুরূপ ভাতা চালু করতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বর্তমান নিয়মে পার্বত্য জেলা সদর ও সদর উপজেলায় নিযুক্ত সকল সরকারি কর্মচারী মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা এবং অন্যান্য উপজেলায় মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পাহাড়ি ভাতা দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, দুর্গম অঞ্চল ঘোষিত ১৬ উপজেলার ক্ষেত্রেও একই হারে ভাতা প্রযোজ্য হবে।