দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় জাসিন্ডা আরডার্নের ছবি

34

বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় হঠাৎ করে ভেসে উঠেছিল নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের ছবি। মুসলিমদের প্রতি জাসিন্ডার ‘সহমর্মিতা ও সমর্থন’র জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদের ধন্যবাদ জানাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এ খবর জানিয়েছে।শুক্রবার ৮২৯ মিটার উঁচু ভবনটিতে ভেসে ওঠা জাসিন্ডার ছবিতে তাকে কালো হিজাব পরে এক মসজিদে হামলায় এক শোকাহত নারীকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা যায়। এ সময় আরবি ও ইংরেজি ভাষায় শান্তি শব্দটি লেখা ছিল।
দুবাইয়ের আমির শেখ মোহাম্মদ ছবিটি টুইটারে শেয়ার করে জাসিন্ডার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, মসজিদ হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধায় পুরো নিউ জিল্যান্ড নীরব ছিল। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। আপনার সহমর্মিতা ও সমর্থন বিশ্বের দেড় বিলিয়ন মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে।
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদের হামলার পর আরডার্নের প্রতিক্রিয়া, বিবৃতি ও পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের পর্যবেক্ষকরা তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানে সুজানে মুর লিখেছেন, ‘মার্টিন লুথার কিং বলেছেন সত্যিকারের নেতারা ঐক্য খোঁজে না তারাই ঐক্য তৈরি করে, আরডার্ন ভিন্ন ধরনের ঐক্য তৈরি, কর্ম, অভিভাবকত্ব ও একতার প্রদর্শন করেছেন। সন্ত্রাসবাদ মানুষের মাঝে ভিন্নতাকে দেখে এবং বিনাশ ঘটায়। আরডার্ন ভিন্নতা দেখেছেন এবং তাকে সম্মান করতে চাইছেন, তাকে আলিঙ্গন করছেন এবং তার সাথে যুক্ত হতে চাইছেন।’ এই ধরনের প্রশংসা বাখ্যা কেবল বিশ্লেষকদের কাছ থেকেই আসছে তেমনটি নয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান শুক্রবার বলেছেন, ‘হামলার পর নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের প্রতিক্রিয়া ও সহমর্মিতা বিশ্বনেতাদের কাছে একটি উদাহরণ।’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মোহাম্মদ ফয়সাল বলেছেন, আরডার্ন পাকিস্তানিদের হৃদয় জয় করেছেন। মার্টিন লুথার কিং এর স্মৃতি সংরক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত মার্টিন কিং সেন্টার টুইটারে লিখেছে- ‘নিউ জিল্যান্ডে একজন নেতার ভালোবাসার পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনী’।