দুটি ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার কিনবে বিমান

124

দুবাই এয়ার শোতে বোয়িংয়ের কাছ থেকে দুটি ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার কেনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গতকাল রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
এ ধরনের উড়োজাহাজ এমনিতে ৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারে বিক্রি করে বোয়িং। তবে বাংলাদেশ তারচেয়ে অনেক কম দামে উড়োজাহাজ দুটি পেতে যাচ্ছে বলে এর আগে ধারণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
বিমানের বহরে এখন চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারসহ মোট ১৬টি উড়োজাহাজ আছে। এর মধ্যে দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং দুটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ ভাড়া করা। খবর বিডিনিউজের
বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল মুহাম্মাদ এনামুল বারীকে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বিমান বহরের আধুনিকায়নে জোর দিচ্ছি, যাতে আধুনিক প্রযুক্তির নতুন উড়োজাহাজ নিয়ে আমরা আরও বেশি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি।
২৯৮ আসনের ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার একবার জ্বালানি নিয়ে ১৩ হাজার ৯৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে। পুরনো উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এই ড্রিমলাইনারে জ্বালানি খরচ ও কার্বন নিঃসরণ ২৫ শতাংশ কম হবে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিমানের বহরে চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংসের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই আরও দুটি নতুন ড্রিমলাইনার কেনার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেদিন বলেছিলেন, আমরা একটা খবর পেলাম বোয়িংয়ের আরো দুইখানা প্লেন তারা খুব শিগগিরই বিক্রি করতে চাচ্ছে। কেউ অর্ডার দিয়ে পরে নেয়নি। সুযোগটা আমরা নেব।
এরপর ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার দুটির দাম নিয়ে বিমান আর বোয়িংয়ের মধ্যে চলে দর-কষাকষি। সেই কাজ শেষ হওয়ার পর সিয়াটলে বোয়িং ফ্যাক্টরিতে শুরু হয় বিমানের জন্য উড়োজাহাজ দুটি সাজিয়ে তোলার প্রস্তুতি। উড়োজাহাজ দুটি চলতি বছরই বিমানের বহরে যুক্ত হতে পারে বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আভাস দিয়েছিলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।