দুই মাস বিলম্বের পর চীনের বার্ষিক বৈঠকের ঘোষণা

30

দুই মাস বিলম্বের পর আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চীনের সবচেয়ে বড় বার্ষিক রাজনৈতিক বৈঠক। চীনের শীর্ষ আইনসভা ন্যাশনাল পিপল’স কংগ্রেস (এনপিসি) এর পার্লামেন্টারি বৈঠক সাধারণত প্রতিবছর মার্চে অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারই প্রথম এই বৈঠক স্থগিত করা হয়। বুধবার এনপিসি’র স্ট্যান্ডিং কমিটি আগামী ২২ মে পার্লামেন্টারি বৈঠক শুরুর ঘোষণা দেয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি চলমান থাকায় এবং ধাপে ধাপে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক ফেরার অংশ হিসেবে এই বৈঠক আহŸান করা হয়েছে। মার্কিন স¤প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার সবচেয়ে জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছে বেইজিং।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে করোনাভাইরাস। পরে বিশ্ব জুড়ে মহামারির আকার নেওয়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩১ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের। সিএনএন বলছে এনপিসির ঘোষণা দিয়ে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করতে চায় চীন। এনপিসি’র ওই বৈঠকে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় ৩ হাজার প্রতিনিধি বেইজিং-এর গ্রেট হল অব দ্য পিউপিলে সমবেত হবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য, বাজেট অনুমোদন, আইন প্রণয়নসহ নানা কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হবে। প্রায় দশ দিন ধরে চলে এই বৈঠক। দুই মাস আগেও চীনের রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষকে আসতে দেওয়া এবং একটি বদ্ধ ঘরে তাদের পাশাপাশি বসতে দেওয়ার কথা অকল্পনীয় ছিলো।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ওই সময় চীন জুড়ে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়। তবে গত কয়েক সপ্তাহে চীনে নতুন আক্রান্তের হার কমে এসেছে। বিভিন্ন শহরের ওপর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। মানুষ কাজে ফিরতে শুরু করেছে আর কয়েকটি প্রদেশে স্কুলের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। তবে চীনে দ্বিতীয়বার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তীব্র আশঙ্কাও রয়েছে।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এবং বিদেশ থেকে আগতদের মাধ্যমে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত মাসে বেশিরভাগ বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে চীন। বুধবার পর্যন্ত চীনে এক হাজার ৬৬০ জন বিদেশি নাগরিকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বিদেশ থেকে ফেরা চীনা নাগরিক।