দুই ট্রেনের চালকসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ

25

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগ স্টেশনে উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে সংঘর্ষের ঘটনায় চালক, সহকারী চালক, গার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গঠিত তদন্ত কমিটি। গতকাল দুটি তদন্ত কমিটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা পাহাড়তলী ও সিআরবিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার কমলাপুর রেলস্টেশনে তূর্ণা ট্রেনের চালক, সহকারী চালকসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ বিভাগীয় পর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্রধান কর্মকর্তা পর্যায়ের কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, এলএম, এএলএম, গার্ডসহ দুটি ট্রেনের সাত-আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) পাহাড়তলীতে বিভাগীয় পর্যায়ের কমিটি ও সিআরবিতে আমাদের কমিটি আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা আমাদের বেশকিছু বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদে কি পেয়েছি তা বলা যাবে না। প্রতিবেদন দিলে সবই আপনাদের জানানো হবে। খুব তাড়াতাড়ি প্রতিবেদন দেয়া হবে। দায়সারা প্রতিবেদন দিতে চাই না। একটু দেরি হলেও ভালোভাবেই প্রতিবেদন দিতে চাই।
গতকাল বিকেলে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমরা এখনো দুই ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের কাছ থেকে জানতে চাইছি। আগামীকাল (আজ) প্রতিবেদন দিয়ে সব জানানো হবে।’
গতকাল বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে রেলভবন থেকে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে আহব্বায়ক করা হয় পূর্বাঞ্চলের সিওপিএস নাজমুল ইসলামকে। এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন ও সিএসটিই অসীম কুমার তালুকদার। এ কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল। বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার কর্তৃক গঠিত বিভাগীয় পর্যায়ের কমিটিতে পূর্বাঞ্চলের ডিটিও নাসির উদ্দিনকে আহব্বায়ক করা হয়। এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, পূর্বাঞ্চলের ডিএসটিই মো. জাহিদ আরেফিন তম্ময়, ডিইএন-১ মো. হামিদুর রহমান, ডিএমই (লোকো) ফয়েজ আহমদ খাঁন ও ডিএমও ফাতেমা বেগম। এ কমিটিকে আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রেলওয়ে ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন, সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) ও রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেও তিন সদস্য বিশিষ্ট পৃথক কমিটি করা হয়। তারাও পৃথকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।