দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে আছে জীবানুমুক্তকরণ যন্ত্র

46

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১৪ বছর ধরে বাক্সবন্দী পড়ে আছে জীবানুমুক্তকরণ যন্ত্র। বছরের পর বছর যন্ত্রটি হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকায় এটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, অপারেশন থিয়েটার চালু না থাকায় এটা কোনো কাজে লাগছেনা।
অবেদনবিদ না থাকায় হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে অপারেশন হচ্ছেনা। তাই মেশিনটিও চালু করার প্রয়োজন মনে করছেন না। নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক হাসপাতাল সং¤িøষ্ট এক ব্যক্তি বলেন, দামি মেশিনটি এভাবে পড়ে থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে। আপাতত এটি জরুরি বিভাগে ব্যবহার করলে রোগীরা অন্তত সেবা পাবেন। গত ১২ মার্চ গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকতে ইসিজি কক্ষের পাশে বারান্দায় পড়ে আছে বাক্সবন্দী জীবানুমুক্তকরণ যন্ত্রটি। হাসপাতালের চিকিৎসরা জানান , তারা জেনেছেন এটি ১৪ বছর ধরে বাক্সবন্দী এভাবে পড়ে আছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৬৫ সালে ৩১ শয্যা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মিত হয়। ১৯৯৬ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০০৬ সালে এ ক্যাম্পাসে নতুন ভবন নির্মিত হয়। ভবনের ২য় তলায় নারী ও শিশু ওয়ার্ড, অপারেশন থিয়েটার, ৩য় তলায় পুরুষ ওয়ার্ড, নিচতলায় ফার্মেসি ও বর্হিবিভাগের চিকিৎসা চলে। পুরো উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা ও পাশের রাউজান উপজেলার লোকজনও এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ রোগী জরুরি বিভাগে সেবা নেন। ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন। অন্ত:বিভাগে ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোমিনুর রহমান জানান, মন্ত্রণালয় থেকে জীবানুমুক্তকরণ যন্ত্রটি ১৪ বছর আগে দেয়া হয়েছে। এত বড় যন্ত্র হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় উঠানোর মতো কোনো পথ নেই। তাছাড়া অপারেশন থিয়েটারও চালু না থাকায় এটি ব্যবহার হচ্ছে না। অপারেশন থিয়েটার চালু করলে এটি ব্যবহার করা যাবে। হাসপাতাল পরিচালনায় তথ্য মন্ত্রীর মনোনতি প্রতিনিধি ইদ্রিছ আজগর চেয়ারম্যান জানান, বিষয়টি জানা ছিলনা। ব্যবহারের উপযোগি করার ব্যবস্থা নেওয়া হেব।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, ব্যবহার উপযোগি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।