দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ একটি সফল সমবায় প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

511

দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ ১৯৫১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সমবায় প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৭ সালে তদানীন্তন দেশ বিভাগের পর এই উপমহাদেশে এক বিরাট সামাজিক পরিবর্তন দেখা দেয়। ফলে শহরাঞ্চলে বিশেষ করে চট্টগ্রামে দেশান্তরিত মানুষের ভিড়ে আবাসিক সমস্যা প্রকট হয়ে উঠে। এমতাবস্থায় তৎকালীন সময়ে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত দৈনিক দি ইউনিটি পত্রিকার সম্পাদক এস.এম.মবিন এবং তৎকালীন জেলা প্রশাসক এম.এ.মজিদ সিএসপি’র অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বেসরকারি পর্যায়ে আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি এর গোড়াপত্তন ঘটে। বিগত ৬৮ বছরে সমাজের গণ্যমান্য বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত সোসাইটির ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে এই সোসাইটি ক্রমান্বয়ে একটি উচ্চ মর্যাদাশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কমিটি সোসাইটির প্রায় তিন হাজার পাঁচশত সদস্যদের আবাসিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। যার মধ্যে বিগত দিনে নাসিরাবাদ প্রকল্পে ১৬৫টি প্লট, খুলশী প্রকল্পে ১৭০টি প্লট এবং পাহাড়তলীর রোজভ্যালী আবাসিক প্রকল্পে ৫৮টি প্লট অত্যন্ত সফলতার সাথে সোসাইটির সদস্যদেরকে বরাদ্দ দেয়া হয়। তাছাড়া খুলশী আবাসিক এলাকায় ৮ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ করে ১২ জন সদস্যের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয় এবং রোজভ্যালী আবাসিক এলাকায় ৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করে সোসাইটির কয়েকজন সদস্যকে ভাড়া ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, সোসাইটির নাসিরাবাদ, খুলশী ও রোজভ্যালী আবাসিক এলাকায় বরাদ্দকৃত প্লটে আনুমানিক ১৭০০ ফ্ল্যাট নির্মিত হয়েছে। এই তিনটি আবাসিক এলাকায় সমাজের গণ্যমান্য সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি লোকজন বসবাস করেন। সোসাইটির সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন এর বলিষ্ঠ উদ্যোগে ৩টি আবাসিক এলাকার প্রতিটি সড়ক এলইডি বাতি দিয়ে আলোকায়ন, সড়কসমূহের উন্নয়ন ও ড্রেনেজ সিস্টেম সংস্কার করা হয়েছে। নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকায় ১১ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ করে ৩২ জন সদস্যকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। খুলশী ও রোজভ্যালী আবাসিক এলাকায় রয়েছে অত্যাধুনিক মসজিদ ও পার্ক। নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে ৫ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক মসজিদ নির্মিত হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৬০০০ বর্গ ফুটের এ মসজিদে প্রায় ৩,৫০০ মুসল্লীর একসাথে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। নিজস্ব কবরস্থান এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে তিনটি আবাসিক এলাকাকে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।
দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর সুযোগ্য সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি হাটহাজারীর বড় দিঘীর পাড় এলাকায় সোসাইটির চতুর্থ আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। শহর এলাকায় ইদানিংকালে জমির অপ্রতুলতা ও আকাশছোঁয়া মূল্যের কারণে সোসাইটি ব্যবস্থাপনা কমিটি যানজটবিহীন ও দূষণমুক্ত পরিবেশে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্বলিত একটি হাউজিং প্রকল্প গড়ে তোলার নিমিত্তে শহরতলীর বড় দিঘীর পাড়স্থ খিল্লাপাড়ায় সোসাইটির চতুর্থ প্রকল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ কানি জমি ক্রয় সম্পন্ন করেছে। আরো জমি ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রকল্পের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে, ঠিকাদার নিয়োগের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাট, সীমানা দেয়াল, রাস্তা ও নালার নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। এ প্রকল্পটিতে সোসাইটির অনেক সদস্যের আবাসন সমস্যা সমাধান হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। ইতিমধ্যে ৬৮ জন সদস্যকে কম/বেশি ৫ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরো ১০০ টি প্লট বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এই আবাসিক প্রকল্পে প্লট ছাড়াও বহুতল বিশিষ্ট ফ্ল্যাট জোন, বাণিজ্যিক (শপিং) জোন, স্কুল/কলেজ জোন, মসজিদ ও কবরস্থান জোন, ক্লাব হাউস জোন, লেক ও গ্রীন জোনসহ পূর্ণাঙ্গ নাগরিক সুযোগ সুবিধা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। বহুতল বিশিষ্ট ফ্ল্যাট জোনে সোসাইটির সদস্যদের প্রায় ২৫০ টি এপার্টমেন্ট বরাদ্দ প্রদানের সুযোগ থাকবে।
নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ২ নং এবং ৩ নং রোডের মাঝখানে অবস্থিত ‘‘সোসাইটি পার্ক” টি দীর্ঘদিনযাবৎ জরাজীর্ণ ও অবহেলিত অবস্থায় পড়ে ছিল। এই অবস্থায় বিভিন্ন এলাকার নানা শ্রেণীর লোকজন পার্কটিতে অহেতুক আড্ডা দেয়ার পাশাপাশি এলাকায় ছিনতাই, ইভটিজিংসহ অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করত। সোসাইটির পার্কসংলগ্ন অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীবৃন্দ এবং নাসিরাবাদ সোসাইটি জামে মসজিদে আগত মুসল্লীবৃন্দসহ আবাসিক এলাকায় বসবাসরত বিশিষ্ট নাগরিকগণের নিরাপত্তা এবং ছোট ছোট শিশু-কিশোরদের বিনোদনের কথা চিন্তা করে দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম. নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে নির্বাচিত সোসাইটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি ২০১৮ সালে দায়িত্বভার গ্রহণ করেই পার্কটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে বহুমুখী ব্যবহারোপযোগী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। চট্টগ্রামের বিশিষ্ট শিল্পগ্রæপ পিএইচপি ফ্যামিলি ও জুমাইরা হোল্ডিংস লিঃ এর আর্থিক সহযোগিতায় গত ২৮ জুলাই ২০১৮ তারিখে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পার্কটির আধুনিকায়ন কাজ শুরু করা হয়। পার্কটিতে শিশুদের জন্য আলাদা ‘‘শিশু পার্ক” জোন, কিশোর এবং বড়দের বিভিন্ন খেলাধুলার জন্য নেট বেষ্টিত ‘‘সবুজ মাঠ” এবং সব শ্রেণীর নারী-পুরুষদের হাঁটার জন্য ওয়াক ওয়ে সহ বয়স্কদের ক্ষণিক বিশ্রামের জন্য টাইলস করা বেঞ্চ এবং ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পার্কে পর্যাপ্ত আলোকায়ন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফার্স্ট এইড এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সবুজ মাঠটিতে খেলাধুলার পাশাপাশি ঈদের এবং জানাজার নামাজ আদায় ও সামাজিক অনুষ্ঠান করার ব্যবস্থা রয়েছে। পার্কটিতে সময় ভাগ করে ছোটদের শিশু পার্ক ব্যবহার ও সবুজ মাঠে খেলাধুলা, বড়দের ওয়াক ওয়ে ও সবুজ মাঠ ব্যবহার এবং মহিলাদের ওয়াক ওয়ে ব্যবহারের জন্য পৃথক পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। পার্কটিতে শৃঙ্খলা রক্ষা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচ্ছন্নতার জন্য নিরাপত্তা প্রহরী ও মালী নিয়োগ করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পার্কটি সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি বিগত ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে উদ্বোধন করেন দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন। সোসাইটির সদস্যগণ, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে বসবাসরত এলাকাবাসী ও বিশিষ্ট নাগরিকগণ এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণ পার্ক ব্যবহারের নীতিমালা অনুযায়ী সোসাইটি কার্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করে পার্ক ব্যবহার করতে পারছেন। দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি শিশু-কিশোর এবং বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষদের কাছে ‘ইট-পাথরের এই নগরী’ তে যেন ‘এক টুকরো নন্দন-কানন’। বিকেলবেলা এবং সন্ধ্যার মনোরম আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে প্রতিদিন পার্কটি সোসাইটির সদস্যদের এবং এলাকাবাসীর এক অভূতপূর্ব মিলনমেলায় পরিণত হয়।
অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর একটি নিজস্ব প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৪ সালে অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কালের বিবর্তনে যথাযথ প্রশাসনিক ও একাডেমিক দক্ষতায় এবং দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন এর দক্ষ পরিচালনায় স্কুলটি চট্টগ্রাম তথা দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্কুল হিসেবে ইতিমধ্যে সুখ্যাতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে স্কুলে প্লে হতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ৪,০০০ (চার হাজার) ছাত্র ছাত্রী, ৫৯ জন শিক্ষক ও ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন সুরম্য ১১ তলা বিশিষ্ট স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ১৪ জানুয়ারী ২০২০ সালে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভবনটি উদ্বোধন করা হয়েছে। নতুন ভবনটিতে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এটি চট্টগ্রামের স্কুলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্কুল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই স্কুলটিকে কলেজে উন্নীত করার পরিকল্পনা দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেসরকারি সমবায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ আজ দেশের অন্যতম বৃহত্তম আবাসিক সমবায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা কমিটির বিগত তিন মেয়াদের এক মেয়াদে সম্পাদক ও দুই মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করায় তাঁর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে সোসাইটির বহুবিধ উন্নয়ন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। যার ফলে দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ একটি উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এবং ‘‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর অধীনে সমবায় অধিদপ্তর” কর্তৃক, বিশেষ শ্রেণী, তাঁতী সহ অন্যান্য পেশা ভিত্তিক সমবায় শ্রেণী/ক্যাটাগরীতে জাতীয় সমবায় পুরস্কার এ ভূষিত হয়েছে, যা সোসাইটির বিগত ৬৮ বৎসরের ইতিহাসে এই প্রথম। বিগত ২৫ নভেম্বর ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে জাতীয় সমবায় পুরস্কারের সার্টিফিকেট ও পদক গ্রহণ করেন সোসাইটির সভাপতি ও সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।

সোসাইটির সদস্যদের ইংরেজি নববর্ষের উপহার হিসেবে স্বল্পমূল্যে ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে গত ০১-০১-২০২০ তারিখে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ‘শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরী (প্রাঃ) লিঃ এর সাথে সমঝোতা চুক্তি করা হয়েছে। মাত্র ১০০ টাকা সোসাইটি কার্যালয়ে জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সদস্যরা প্রায়োরিটি হেলথ কার্ড সংগ্রহ করে নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। বিগত ০৪-০৫-২০১৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত মূলতবী বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৫-২০১৬, ২০১৬-২০১৭ এবং ২০১৭-২০১৮ সালের জন্য সদস্যদেরকে ৩৫% হারে ডিভিডেন্ট প্রদানের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।

বাংলাদেশে সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে বহু প্রতিষ্ঠান তাদের লক্ষ্য অর্জনে সফলতা অর্জন করেছে। যার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠি বিপুলভাবে উপকৃত হয়েছে। দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এর সভাপতি ও সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন এর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি সোসাইটির সদস্যদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাগুলোকে আরো আধুনিকায়ন করতে সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। আর এভাবেই দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ- একটি সফল সমবায় প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে সমাজের এবং রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

লেখক- সম্পাদক, দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ, চট্টগ্রাম